সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

সিরাজগঞ্জ

৮ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা ইরি-বোরো চাষ দেড় লাখ হেক্টরে

সিরাজগঞ্জে আমন ধান কাটার পর থেকেই ইরি-বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির আগেই কৃষকরা বীজতলা তৈরি করছেন। তীব্র শীতে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে আগেভাগেই বীজতলা তৈরি করছেন তারা।

সিরাজগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় ৮ হাজার ৪৪ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৭ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া এ বছর ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমি। এরই মধ্যে ৪০ হাজার কৃষককে বীজ ও সার এবং ৩২ হাজার কৃষককে হাইব্রিড ধানের বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক এখন ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বীজতলা তৈরি ও বীজতলায় ধানবীজ বপন করছেন কেউবা বীজতলার জমি প্রস্তুত করছেন।

জেলার সদর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কৃষক মজনু চকদার বলেন, এ বছর প্রায় ৩ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। শীতে বীজতলা নষ্ট হয়ে যায় তাই আগেই তৈরি করেছি। তিনি আরো জানান, গত বছর তীব্র শীতে আমার বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সে সময় অধিক দামে চারা কিনে জমি চাষ করেছিলাম এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। তাই এবার আগেই বীজতলা তৈরি করছি।

বনবাড়িয়া গ্রামের ধানচাষি হাছেন আলী বলেন, এ বছর কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের ধান চাষের জন্য নানা পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। এ বছর রোপা আমন ধানের ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা ইরি-বোরো ধান চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠেছে বলে তিনি জানান।

কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম জানান, এ বছর বি-২৯, ৮৯, ৯২, বিনা ২৫ ও আধুনিক জাতের ধান চাষের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, দেশে খাদ্যে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে জেলার কৃষকরা ইরি-বোরো চাষে নেমেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষিবিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close