reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ মে, ২০২৪

প্রেসিডেন্ট রাইসিকে ইরানের মাশহাদে দাফন

ছবি : সংগৃহীত

কয়েকদিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নিজের শহর মাশহাদে ইমাম আলী আল-রেজার মাজারে সমাহিত করা হয় প্রয়াত এই প্রেসিডেন্টকে।

ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে বিমানে করে মাশহাদের নেজাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাইসির মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাকে শেষ বিদায় জানাতে বহু মানুষ জড়ো হন।

পরে শোকগ্রস্ত মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে সুসজ্জিত একটি ট্রাকে করে তার কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ইমাম রেজার মাজারে। সোনার গম্বুজ বিশিষ্ট ইমাম রেজা মাজারেই দাফন করা হয়েছে রাইসিকে।

রাজধানী তেহরান থেকে ৯০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ইরানের পবিত্রতম শহর মাশহাদেই নবম শতাব্দীতে শায়িত হয়েছিলেন ইমাম আলী আল-রেজা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাহিত করার আগে জন্মস্থান মাশহাদে রাইসির জানাজা পড়ানো হয়। একই সময়ে ইমাম রেজার পবিত্র মাজারে প্রেসিডেন্ট রাইসির কবরস্থান প্রস্তুত করা হয়।

এরপর সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়। মাশহাদে বসবাসরত বিদেশি কূটনীতিকের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের অনেক কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট রাইসির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাশহাদে এসেছেন।

রাইসি ও সহযোগীদের কফিনগুলো বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় খোরাসান রাজাভির বিরজান্দ শহরে নেওয়া হয়। সেখানে কফিনের গাড়িকে গ্রহণ করেন ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর কফিনগুলোকে মাশহাদের নেজাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়।

এর আগে বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে রাইসি ও তার সঙ্গীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে দেশটির রাজধানী তেহরানে ঢল নামে লাখো মানুষের।

গত শনিবার (১৮ মে) একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। রোববার (১৯ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দুদেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন তিনি।

সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। কয়েক ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারটিতে থাকা সব আরোহীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে ইরান সরকার। তবে অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।

এদিকে রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়া দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। এরই মধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনা তদন্তে উচ্চপদস্থ একটি প্রতিনিধিদলকে দায়িত্ব দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দাফন,প্রেসিডেন্ট রাইসি,ইরানের মাশহাদ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close