খায়রুল আলম রাজু
মিতুর ম্যাজিক
মিতু শুভর মামাতো বোন। শুভ এবং মিতু উভয়ই দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মিতু আজ শুভদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। বিকেলে তারা ছাদে বসে গল্প করছে, হঠাৎ মিতু বলে শুভ চলো আমরা অঙ্ক করি। আমার না অঙ্ক খুব প্রিয়!
-আচ্ছা শুভ তোমার অঙ্ক কেমন লাগে?
-নাহ! অঙ্ক মজা লাগে না আমার।
-আচ্ছা অঙ্ক যদি মজার হয়, তখন মজা লাগে তো?
-অঙ্ক কি মজার হয় নাকি? অঙ্ক তো কঠিন বিষয়!
-না, না শুভ অঙ্ক একটি মজার বিষয়!
আমি অঙ্ক নিয়ে ম্যাজিকও পারি!
-তাই বুঝি! কার কাছে শিখেছ?
-আমার ছোট মামার কাছে শিখেছি।
-মিতু তাহলে আমাকেও গণিতের ম্যাজিক শিখাবে তো?
-আচ্ছা শেখাবো সমস্যা নেই, তুমি খাতা-কলম নিয়ে এসো।
মিতু প্রথমে একটি যোগফল লিখে শুভর হাতে দিয়ে দিল।
-মিতু এইটা কিসের যোগফল?
-এই যোগফলই আমার ম্যাজিক!
-তুমি খাতায় যেকোনো একটি অঙ্ক (ডিজিট) পরপর তিনবার সাজিয়ে যেকোনো একটি সংখ্যা লেখ।
-হুম, লিখেছি।
-এবার, সংখ্যার অঙ্ক তিনটি যোগ করো।
-হ্যাঁ, যোগ করেছি। এখন কী করব?
-এখন, এই যোগফল দিয়ে তোমার তিন অঙ্কের সংখ্যাটিকে ভাগ কর।
-কি শুভ, অবাক হলে নাকি?
দেখ তো উত্তর কত? আমার লেখা উত্তরের সঙ্গে মিলে গেল তো?
-শুভ, অবাক হয়ে গেল,
কেননা, মিতুর লেখা অগ্রিম উত্তরটি একেবারে কড়ায়-গন্ডায় মিলে গেছে।
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমাদেরও জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়? তোমরাও শিখতে চাও গণিতের ম্যাজিক?
সমস্যা নেই! এটা খুবই সহজ এবং মজার বিষয়। কেননা, ম্যাজিক হলো বুদ্ধির খেলা! চলো তবে জেনে নিই, মিতুর ম্যাজিকটি।
ধরা যাক, শুভ তার খাতায় একটি সংখ্যা তিনবার সাজিয়ে ৮৮৮ লিখেছিল। এবার সংখ্যার অঙ্ক তিনটির যোগফল যথাক্রমে ৮+৮+৮=২৪। তারপর প্রাপ্ত যোগফল দিয়ে তিন অঙ্কের সংখ্যাটিকে ভাগ করলে দাঁড়ায় ৮৮৮স্ট২৪=৩৭। আর এই যোগফলই মিতু আগেই শুভকে লিখে দিয়ে ছিল।
ছোট্ট বন্ধুরা, এখন প্রশ্ন হলো, মিতু উত্তরটা জানলে কীভাবে?
-কি তোমাদের জানতে ইচ্ছে করছে তো? শুনো তবে মিতুর ম্যাজিকের কীর্তি।
-একই অঙ্ক পরপর তিনবার সাজিয়ে প্রাপ্ত সংখ্যাকে ওই তিন অঙ্কের যোগফল দিয়ে ভাগ করলে সব সময়ই উত্তর হবে ৩৭!
-ছোট্ট বন্ধুরা তোমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি?
-তাহলে তুমি নিজেই যাচাই করে দেখ না! তুমি নিজেই ৬৬৬ সংখ্যাগুলো নিয়ে হিসাব করো! তারপর সংখ্যার অঙ্ক তিনটি যোগ করো। যোগফল দিয়ে প্রদত্ত সংখ্যাকে ভাগ করো, দেখবে তোমার উত্তরও ৩৭ হবে!
"