জাবি প্রতিনিধি

  ২১ মে, ২০২৪

জাবিতে সমাবেশ

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতিসহ চার দাবি 

ফিলিস্তিনের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মহুয়া মঞ্চে মঙ্গলবার কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমাবেশ। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

গাজায় ‘গণহত্যা’ বন্ধ ও ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশ এবং শোভাযাত্রা করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে চারটি দাবি জানানো হয়।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার সংলগ্ন মহুয়া মঞ্চে এ প্রতিবাদী সমাবেশ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সমাবেশ শেষে শহিদ মিনারের সামনে ইসরাইলি পতাকা পোড়ান শিক্ষার্থীরা। পরে একটি শোভাযাত্রা শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়ক পদক্ষিণ করে।

জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে হারানো ভূখন্ড ফিরিয়ে দেওয়া, গণহত্যার দায়ে জড়িত থাকায় ইসরাইলের বিচার ও শাস্তি এবং নিরাপত্তা পরিষদে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত তৈরি করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রতিটি শিশুর মৃত্যু দেখে মনে হয়, আমার সন্তানের মৃত্যু। আজ ফিলিস্তিনে যে হত্যা চলছে, তার উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ ভূমি দখল করা। সম্প্রতি জাতিসংঘে যুদ্ধ বিরতির জন্য নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র দুই বার ভেটো দিয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও পাকিস্তানের পক্ষেতারা ভেটো দিয়েছিল। এটা থেকেই প্রমানিত হয় যুক্তরাষ্ট্রই বর্তমানে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে আছে এবং তাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন করে যাবে।’

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘গত সাত মাসের হামলায় ৩৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। জুলুমকারীরা আট বছরের শিশুকেও ভয় পায়, তাই তাকেও হত্যা করছে। ফিলিস্তিন জনগণের পাশে দাড়ানোর জন্য কোনো দেশের হওয়া লাগে না, মুসলমান হওয়া লাগে না, হিন্দু হওয়া লাগে না। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে তাদের পাশে আমরা বাংলাদেশের বাংলাদেশের মানুষ আছি।’

পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘৭৭ বছর আগে ফিলিস্তিনিদের ওপর এ হত্যাকাণ্ডের গোড়াপত্তন করেছিল ইসরায়েল। বাংলাদেশের শান্তিকামী মানুষ স্বাধীনতার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের পাশে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিনিদের গনহত্যার প্রতিবাদে যেরকম আন্দোলন হওয়ার কথা সেরকম প্রতিবাদ হয়নি বাংলাদেশে। আমাদের সরকারকে পার্সপোটে ইসরায়েল নিষিদ্ধ কথাটি সংসদে পাশ করতে হবে। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে সব মুসলমানদের অবাণিজ্যিকভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের লেখা, নাটক এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদের ভাষা জারি রাখতে হবে।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close