reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৫ মে, ২০২৪

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক

অটোরিকশা-ভ্যান চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলের কারণে সড়কে এমন দুর্ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই এমন দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় সড়কে চলাচলকারীদের। সড়কে যথাযথ নজরদারি ছাড়াও অটোরিকশা ও ভ্যানসহ তিন চাকার যানবাহনের অবাধ চলাচলে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

একসময় মরণফাঁদ হিসেবে পরিচিত ছিল ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। তবে বাঁক প্রশস্তকরণ, ডিভাইডার বসানো, বাসস্ট্যান্ড এলাকাগুলোতে ডেডিকেটেড লেনসহ সার্ভিস লেন, আন্ডারপাস, ওভারব্রিজ এবং বাস-বে নির্মাণ করায় সড়কে দুর্ঘটনা কমে এসেছিল। তবে সম্প্রতি এ মহাসড়কে আবারও বেড়েছে দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে বাস-ট্রাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে অটোরিকশা-ভ্যান। দুর্ঘটনার এটিই বড় কারণ। তবে সচেতন মহল বলছে, প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাবেই দুর্ঘটনা ঘটছে। দূরপাল্লার দ্রুতগামী যানবাহনের সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিয়ে চলছে অটোরিকশা, ভ্যানসহ তিন চাকার যানবাহন। সার্ভিস লেন ছেড়ে মূল লেনে, কখনো উল্টোদিকে নির্বিকার চালান চালকরা। বিনা বাধায় সড়কে দাপটের সঙ্গে চলে তিন চাকার যানবাহন।

পুলিশের তথ্য বলছে, ধামরাইয়ের কালামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মানিকগঞ্জের তরা ব্রিজ পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার সড়কে গত এক বছরে ৩৯ দুর্ঘটনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের তথ্য বলছে, ধামরাইয়ের ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়কে ৯৫ দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হয়েছে।

হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন অর্থাৎ ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নছিমন, করিমন, ভটভটি ইত্যাদি নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে এখনো চলছে তিন চাকার যানবাহন। মাঝেমধ্যে উল্টোপথে? চলছে এসব যান। কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না এসব যানের চালকরা। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা ও ট্রাফিক আইন অমান্য করে চলছেন তারা। মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল অত্যন্ত ভয়ংকর। এই চালকদের কোনো লাইসেন্স নেই। তারা প্রশিক্ষিতও নন। ফলে অদক্ষ চালক ও মানহীন নিষিদ্ধ তিন চাকার যান মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই সড়কে ভিন্ন ভিন্ন গতির গাড়ি চললে দুর্ঘটনা ঘটবেই। অটোরিকশা, ইজিবাইকে ন্যূনতম নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। ফলে ট্রাক, বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, মারা যাচ্ছে যাত্রীরা। ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নছিমন, করিমন ও ভটভটি মহাসড়কে চলাচল করায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব যান মহাসড়কে না উঠলে সবাই নিরাপদ থাকবে। এটি বন্ধে প্রশাসনের যেমন তৎপর থাকা উচিত, তেমনই জনগণেরও সচেতনতা দরকার। পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ জনগণ, জনপ্রতিনিধি সবাই সচেতন হলে মহাসড়কে যান চলাচল আরো স্বাভাবিক হবে।

মহাসড়কে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সবার সচেতনতা জরুরি। ট্রাফিক আইন ও রাষ্ট্রের আইন মেনে চলা আরো বেশি জরুরি। আইন অমান্য করার প্রবণতা মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়িয়ে দিয়েছে। নিষিদ্ধ যানবাহনগুলো আইন অমান্য করে মহাসড়কে চলাচল করায় দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা হ্রাস এবং শৃঙ্খলা আনতে এসব তিন চাকার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজরদারি বাড়াবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close