রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১২ জানুয়ারি, ২০২৪

মতামত

বাঙালির অদম্য শক্তি ও শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রত্যয়

নতুন বছরের ৭ জানুয়ারি ২০২৪ হয়ে গেল দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। আর শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন বিশ্বরাজনীতিতে। উনিশ শো একাত্তর সালে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। স্বাধীনতা অর্জনের পর ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি এখন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের পরের অধ্যায় শুধুই এগিয়ে যাওয়ার। নানা পিছুটান, ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও স্বাধীনতা-পরবর্তী পাঁচ দশকে বাঙালির অর্জন বিস্ময় জাগিয়েছে সারা বিশ্বে। বিগত এক দশকের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিসহ সামগ্রিক অগ্রযাত্রা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে কঠিন মূল্য দিয়েছিল, আজ তার সুফল ভোগ করছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে দেশের সামগ্রিক চিত্র। বাংলাদেশ এখন বিশ্বদরবারে দ্রুত উন্নয়নশীল বিকাশমান অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম ও অতুলনীয়। তার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমেছে দারিদ্র্যের হার। তার সাহসিকতা এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেছে। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত, রাজনীতি ও আদর্শের উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক শাসকরা দীর্ঘ সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। সে সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা ছিলেন নির্বাসিত। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন পঁচাত্তরে পরিবার হারানো শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক সেই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তার একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম। এক বর্ণাঢ্য সংগ্রামমুখর কণ্টকাকীর্ণ পিচ্ছিল পথ অতিক্রম করা নীলকণ্ঠীর ন্যায় জীবন পাড়ি দিয়ে বিশ্বনেতৃত্বে আলোকবর্তিকায় রূপ নেওয়া শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস তিনি গৃহবন্দি থেকেছেন। সামরিক স্বৈর শাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাকে কারাভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। বারবার তার জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। বেশ কয়েকবার তাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় কুচক্রীদের সব মারণফাঁদ ভেদ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তার লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন দৃঢ় অবিচল। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির পাশাপাশি সব রকম শোষণ-বঞ্চনা, অন্যায়-অবিচার, জুলুমের বিরুদ্ধে সব সময় রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার, প্রতিবাদী ভূমিকা রেখে এসেছেন। ২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশ পরিচালনা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। টানা ১৪ বছরের এ শাসনামলে অর্থনীতির প্রায় সব সূচকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশে তার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, ঐকান্তিকতা, যুক্তিবাদী মানসিকতা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্বপরিমণ্ডলে অন্য রকম উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কৃতিত্বের স্বাক্ষর বিরাজমান জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে। তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যেমন সফল তেমনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে তার পারদর্শিতা দেখিয়েছেন, যা বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানিবণ্টন বিষয়ে ৩০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিসসা স্বীকৃতি পায়। ১৯৮২ সাল থেকে অমীমাংসিত বিষয়টি ফয়সালার ফলে ভুক্তভোগী জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়। ২০১৫ সালে সমুদ্র বিজয় আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত করে। প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে আইনি বিরোধের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এলাকাভুক্ত ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকার ওপর স্বত্বাধিকার লাভ করে। সমুদ্রের নীল জলরাশি ও তার সম্পদ আহরণে এই উন্মুক্ত অধিকারের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১-এ সুনীল অর্থনীতির কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে জটিল ও দীর্ঘায়িত সীমান্ত সমস্যার সফল সমাপ্তি হয়। ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে ছিটমহল বিনিময় করে বাংলাদেশ পায় ভারতের ১১১টি ছিটমহল। এ চুক্তির ফলে নতুন আশা নিয়ে জীবন শুরু করে ছিটমহলবাসী। মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকাখচিত পদচিহ্ন এঁকে দেওয়া বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বাংলাদেশের রূপান্তরের আরেক মাইলফলক, যা ২০১৮ সালে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।

গত ১৪ বছরে ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা চুক্তির মাধ্যমে ছিটমহল বিনিময়, ভারত-মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা অর্জনের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ করছে বাংলাদেশ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মাথাপিছু আয়, নাগরিক সেবা, ইন্টারনেটের ফলে বদলে গেছে জীবনযাপনের মান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে একসময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করত, সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা সামাজিক উন্নয়ন-যেকোনো সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি অভূতপূর্ব। সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি- সব ক্ষেত্রই বিশ্বে বাংলাদেশ এক বিস্ময়ের নাম। বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও এর বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলায় ইতিহাস হয়ে থাকবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে বাংলাদেশের পদচারণা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন যেটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তা ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের উন্নয়নের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এসেছে অনেক দেরিতে।

বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্রূপ করেছিল সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (প্রয়াত) হেনরি কিসিঞ্জার ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি দেশটিকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের অবস্থানকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো- স্বাধীনতার পর কয়েক দশকের মধ্যেই বাংলাদেশ কিসিঞ্জারকে একেবারেই ভুল প্রমাণ করেছে। মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন অপ্রতিরোধ্য। একসময় বৈদেশিক সহায়তা ছাড়া চলতে না পারা বাংলাদেশ এখন নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা সমুদ্রবন্দর, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ তার সক্ষমতা প্রমাণ করছে। গত চার বছরে বিশ্বে নতুন নজির স্থাপন করেছে শেখ হাসিনার সরকার; তা হলো, ২ লাখ ১০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রনায়ক থেকে বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার যে ম্যাজিক তিনি বিশ্বকে দেখিয়েছেন, তা এখন উন্নত বিশ্বে শেখ হাসিনাকে রূপ দিয়েছে উন্নয়নের রোল মডেলে হিসেবে। বাংলাদেশ এখন অর্জন করেছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পপূর্ণতা। দারিদ্র্যবিমোচন, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সূচকের প্রবৃদ্ধির ফলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণেই বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনার শাসনকাল চিহ্নিত হয় স্বর্ণযুগ হিসেবে। তার গৃহীত পদক্ষেপে দেশবাসী আজ তার সুফল পাচ্ছে। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখতেন, সেই স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দ্রুত রূপান্তর ঘটেছে এবং আগামী অর্ধশতাব্দীর মধ্যে বাংলাদেশের শুধু আঞ্চলিক পাওয়ার হাউস নয়, বরং বৈশ্বিক পাওয়ার হাউস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে সরকার। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে দেশ এরই মধ্যে ফাইভণ্ডজি যুগে প্রবেশ করেছে। নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ, ধনী-দরিদ্র-নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করা, শহর ও গ্রামের সেবাপ্রাপ্তিতে দূরত্ব হ্রাস করা- সবই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও প্রযুক্তির কল্যাণে এখন গ্রামে বসেই যে কেউ চাইলেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করতে পারছে। এসবই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতির ফলে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলে বাংলাদেশকে একটি দুর্বল অর্থনীতির দেশ থেকে সব শর্ত পূরণ করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পদার্পণ করিয়েছে। আর তা করতে গিয়ে মানুষের জীবনমানকে উন্নত করতে হয়েছে, আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হয়েছে। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আপন কর্ম মহিমায় শেখ হাসিনা হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা, অসীম সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। এজন্যই উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে শেখ হাসিনার নাম চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। তাই শেখ হাসিনার নতুন বিজয়ে আবারও অভিনন্দন ও শুভ কামনা। এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ যেন আরো এগিয়ে যায়, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close