শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ১৭ মে, ২০২৪

শিবগঞ্জে ১৫ হেক্টর  জমিতে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপির চাষ

শিবগঞ্জে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষীকে পরামর্শ দিচ্ছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুর রহমান। ছবি: কনক দেব। 

বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, টমেটো প্রধানত শীতকালীন ফসল হলেও বর্তমানে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির কল্যাণে এ সবজি গ্রীষ্মকালেও চাষ হচ্ছে। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষে শীতকালের তুলনায় ফলন ভালো এবং দামও ভালো পাওয়ায় দিন দিন বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী, মোকামতলা, রায়নগর এবং শিবগঞ্জ ইউনিয়নে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি, ফুলকপির ও মুলা চাষাবাদ হচ্ছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও ভালো দাম পাওয়ার আশায় গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকি নিয়েছে কৃষকেরা। তাছাড়া তাপমাত্রা বেশি থাকলেও ফলন ভালো হচ্ছে এবং চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

উপজেলার রহবল, সাদুল্যাপুর, খামারপাড়া, হরিরামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন ফুলকপির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। মোকামতলার হরিরামপুর (সরদারপাড়া) গ্রামের কৃষক তোতা মিয়া (৫৫) বলেন, ১৬ শতাংশ জমিতে এক মাস আগে বাঁধাকপি চারা রোপণ করেছি। গাছ ভালো আকারে বেড়েছে। আশা করছি দুই এক সপ্তাহের আগেই বাঁধাকপি বিক্রি করতে পারব এবং আবহাওয়া যদি ভালো থাকে তবে এ জমি থেকে ৪০ থেকে ৫০ মণ বাঁধাকপি পাওয়া সম্ভব হবে। ১৬ শতাংশ জমিতে সব মিলিয়ে তার ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলেও জানান এই চাষী।


  • বর্তমানে প্রতি মণ বাঁধাকপির দাম ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা পাইকারি বিক্রি
  • কৃষকদের সব ধরনের কারিগরি সহাযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা

উপজেলার রহবল ব্লকের কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান, তারা সবসময় কৃষকদের নিরাপদ উচ্চমূল্য ফসল চাষে উৎসাহিত করছেন। গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা চাষ বেশ লাভজনক। বর্তমানে প্রতি মণ বাঁধাকপি দাম ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা পাইকারি। তবে এ বছর তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ফুলকপির ফলনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে। তারা সবসময় কৃষকদের পাশে থেকে বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবেলায় পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, শিবগঞ্জ এলাকার মাটি খুবই উর্বর সব ফসল সব আবহাওয়ায় মানিয়ে নেয়। বর্তমান কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে পরিণত করতে কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি, ১০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, ৮ হেক্টর জমিতে টমেটো এবং ১০০ হেক্টর জমিতে মুলা চাষ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের সব ধরনের কারিগরি সহাযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বগুড়া,শিবগঞ্জ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close