বাগেরহাট প্রতিনিধি
আশংকাজনক অবস্থায় আরেক সন্তান হাসপাতালে ভর্তি
শিশু সন্তানসহ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী বাজার এলাকায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ৩ বছরের শিশু সন্তানসহ শম্পা রাণী কর্মকার (২৪) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল শরনখোলা থানা পুলিশ অপু কর্মকারের ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ৩ বছর বয়সী ছেলে অরন্য কর্মকার ও তার স্ত্রী লাশ উদ্ধার করে। এসময় ২১ দিন বয়সী আরেক ছেলে সন্তানকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শম্পা রানী কর্মকার সাইথখালী ইউনিয়নের অপু কর্মকারের স্ত্রী।
প্রথমিকভাবে পুলিশ ধারনা করছে সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গৃহবধু শম্পা কর্মকার নিজে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারনে সে তার সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তাফালবাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জ সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) আরাফাত শেখ বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে অপু কর্মকারের বাড়িতে কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিরা তার বাড়িতে যান। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে তারা ঘরের জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে অপুর স্ত্রী শম্পাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। অপুর বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে খাটের উপর ঘুমিয়ে থাকা তার তিন বছরের শিশু অরন্য ও স্ত্রী শম্পার ঝুলে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময়ে তার ২১ দিন বয়সী ছেলে অর্ণব কর্মকারকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গৃহকর্তা অপুর অনুপোস্থিতিতে তার স্ত্রী তার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। জীবিত উদ্ধার হওয়া শিশুটির গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তাকেও হত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে কি কারণে ওই গৃহবধু নিজের সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন তা তদন্ত ছাড়া এখনই বলা যাচ্ছে না।
পিডিএসও/রানা