ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

  ০২ মার্চ, ২০২৪

বিষমুক্ত সবজি চাষে ব্যাপক সাড়া

বিষমুক্ত সবজি চাষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষকরা এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মৌসুম অনুযায়ী বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন সবজি। এই পদ্ধতিতে কেউ আবাদ করছেন জমিতে, কেউবা পুকুর পাড়, আবার কেউ করছেন পতিত জমি আর বাড়ির আঙিনায়।

চলতি শীত মৌসুমে আবাদ করা জমিতে কৃষকরা লাউ, বরবটি, টমেটো, শসা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেপে, করলা, শিম, মূলা, কচুশাক, পুঁইশাকসহ নানা সবজি চাষ করেন। কৃষকরা সবজির পরিচর্যা ও বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করেন।

জেলার হাট-বাজারগুলো এখনো শীতকালীন সবজিতে ভরে রয়েছে। কীটনাশকমুক্ত ওইসব শাক-সবজি নিরাপদ ও বালাইমুক্ত হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে। নিজেদের কষ্টার্জিত সবজি পাইকারদের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহের মাধ্যমে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।

তারা জানান, ভালো দাম পাওয়ায় প্রতি বছর সবজির আবাদ বাড়ছে। বিশেষ করে আগাম জাতের শাক-সবজি আবাদ করে তারা লাভবান হচ্ছেন। এখানকার মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই সবজি চাষে কম পরিশ্রমে বেশি লাভ পাচ্ছেন চাষিরা। সবজি চাষে বদলে গেছে এখানকার শত শত কৃষকের ভাগ্যের চাকা। তবে সবজি ফলন ভালো করতে বেশির ভাগ কৃষক নির্ভর করেন কৃষি অফিসের পরামর্শের ওপর।

সবজি চাষি আবদুল হাসিম বলেন, মুলা, লালশাক, পুঁইশাক, আর মরিচ বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা আয় হবে তার। কৃষক আলী মিয়া বলেন, এখানকার জমি নিচু হওয়ায় বর্ষাকালে দুই থেকে তিন মাস পানি থাকে। ওই সময় কিছুই চাষ করা যায় না। পানি সরে যাওয়ায় ২ বিঘা জমিতে ফুলকপি, মুলা, পুঁইশাক ও লালশাক চাষ করি। এই জমি থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, সবজি চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তা ছাড়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সার, বীজ, কীটনাশকসহ বিভিন্ন সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। অচিরেই নতুন করে আরো কৃষক বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসবেন। ফলন বাড়াতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close