reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৮ মে, ২০২৪

চলচ্চিত্র পরিচালক এম এ আউয়ালের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর মগবাজার দিলু রোডের একটি মেস বাসা থেকে ‘রাজপথের বাদশা’ ও ‘কাছের শত্রু’ সিনেমা পরিচালক এম এ আউয়ালের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমের মধ্যেই অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। তবুও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

চলচ্চিত্র পরিচালক শাহ আলম কিরণ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পরিচালক এম এ আউয়াল, আনোয়ার সিরাজীসহ ৭-৮ জন কলাকুশলী একটি মেসে থাকত, গতকাল আনোয়ার সিরাজী বিকেলে তার সঙ্গে কথা বলে এফডিসিতে আসেন। সে সময়ই তার শরীরটা ভালো ছিল না বলেছিলেন।

হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক জানান, খবর পেয়ে গতরাতে মগবাজার দিলু রোডের বাড়িতে যাই। বাড়িটির পঞ্চম তলার একটি মেস থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই মেসে তিনিসহ কয়েকজন সহকর্মী মিলে ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবাল (৭মে) সকালে তার সঙ্গে আরও যারা থাকতেন তারা যে যার মতো কাজে চলে যান। রাতে বাসায় ফিরে রুমের দরজা যখন বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করার পরও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে থানায় খবর দেন। পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দেখা যায় বিছানায় পড়ে ছিল নির্মাতার মরদেহ।

আউয়ালের রুমমেট দুলাল হোসেন জানান, রুমটিতে চার জন মিলে মেস করে থাকেন। তাদের একজন রুমমেট বাড়ি গিয়েছেন। দুলালসহ অন্য রুমমেট সকালে কাজে চলে যান। এরপর রাতে সাড়ে ৯টার দিকে দুলাল হোসেন বাসায় ফিরে রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান।

তখন অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সাড়াশব্দ পান না। এরপর বাড়ির দারোয়ান ও মালিককে খবর দেন। তারাও অনেক ডাকাডাকি করেন। উপায়ান্ত না পেয়ে রাতে তারা থানায় খবর দেন। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে দরজা ভাঙে। তিনি আরও জানান, আউয়ালের হার্টের সমস্যা ছিল। এছাড়া কিডনি জটিলতা ছিল দীর্ঘদিনের। চিকিৎসা নিচ্ছিলেন নিয়মিত ঔষধও খেতেন। বিয়ে করেননি আউয়াল। এছাড়া পরিবারের সাথেও তার কোনো যোগাযোগ নেই।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close