বাসস

  ০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

উন্নয়নে বদলে গেছে রুয়েট

বদলে গেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। গত ১৫ বছরে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়নে নতুন রূপ লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৯ থেকে ২০২৬ সাল সময়কালের মেয়াদে প্রায় ৪৪.৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশাসন ভবন ও স্থাপত্য ভবন, ছাত্র ও ছাত্রী হল, ছাত্রকল্যাণ কমপ্লেক্স, গেস্ট হাউস, শিক্ষক ও কর্মকর্তা কোয়ার্টার এবং গ্রন্থাগার ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে।

ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক আবাসন, শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা প্রদান এবং লাইব্রেরি সুবিধা উন্নত হয়েছে। বর্তমানে রুয়েট ক্যাম্পাসে ১১টি নতুন দশতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। রুয়েটে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য ৫৯৯.৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং রুয়েটের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় একযোগে বেশ কিছু বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ‘রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো উন্নয়ন (সংশোধিত)’ শীর্ষক পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের অধীনে আরো কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক অমিত রায় চক্রবর্তী বলেন, প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হলো- দেশের প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দক্ষ জনশক্তির বিকাশের জন্য উচ্চতর গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো এবং সম্প্রসারণ করা। প্রকল্পের অধীনে প্রশাসনিক ভবন, ছাত্রী হল, ছাত্র হল, অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক কোয়ার্টার, শিক্ষক ডরমেটরি, অফিসার্স কোয়ার্টার ও স্টাফ কোয়ার্টারসহ বেশ কটি দশতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। বিদ্যমান দ্বিতল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলকে পাঁচতলা ভবনে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের জন্যও দশতলা ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এসব অবকাঠামো নির্মাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কাজকে সহায়তা, দক্ষ ও উন্নত করবে এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার গুণগত উন্নতি নিশ্চিত করবে। তিনতলা বিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টার নির্মাণের পাশাপাশি একটি দ্বিতল উপাচার্যের বাংলো-কামণ্ডঅফিস ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটিতে পরীক্ষাগারের উন্নতির জন্য বৈজ্ঞানিক, পরীক্ষাগার ও অফিস সরঞ্জাম এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটেশনাল ও সহপাঠ্যক্রমিক সুবিধা নিশ্চিতে আসবাবপত্র সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।

রুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম আশা প্রকাশ করেন যে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে রুয়েট ক্যাম্পাস নতুন রূপ পাবে। তিনি বলেন, উন্নত সুযোগ-সুবিধাগুলো শিক্ষাদান এবং গবেষণা উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চতর একাডেমিক মানকে এগিয়ে নিতে এবং সহায়তা করতে বিপুল অবদান রাখবে, যা বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎকর্ষের কেন্দ্রে পরিণত করবে। অধ্যাপক আলম বলেন, রুয়েটকে দেশের প্রথম স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যেখানে একাডেমিয়া ও শিল্প বিশেষজ্ঞরা যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করবেন। দক্ষ শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ক্ষমতা অর্জন করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close