ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৫ মার্চ, ২০২৪

পিএসভিকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টারে ডর্টমুন্ড

জেডন সানচো ও মার্কো রেয়াসের গোলে পিএসভিকে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। নেদারল্যান্ডসে প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র ছিল। জয়ের নেশায় ঘরের মাঠ সিগন্যাল ইডুনা পার্কে মাঠে নামা ডর্টমুন্ডের হয়ে সানচো কোনো সময় নষ্ট করেননি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লো শটে তিনি ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে দেন।

২০২১ সালের নভেম্বরের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি সানচোর প্রথম গোল। ম্যাচের ৩ মিনিটে লিড নেওয়ার পর ডর্টমুন্ডকে খুব একটা স্বস্তিতে খেলতে দেখা যায়নি। পিএসভির মধ্যে কিছু সুযোগ নষ্ট করেছে। ৫৩ মিনিটে হার্ভিং লোজানোর শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় ডাচ জায়ান্টদের। স্টপেজ টাইমেও সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল পিএসভি। কিন্তু তার পরিবর্তে আরো এক গোল হজম করে বসে। ইসাক বাবাডির দুর্ভাগ্যজনকভাবে পড়ে যাওয়া রেয়াসকে গোলের সুযোগ করে দেয়। ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রিগর কোবেল বলেন, ‘এটা সত্যিই দারুণ এক অনুভূতি। প্রথম ৩০ মিনিট আমরা তাদের কোনো নিশ্বাস নিতে দিইনি। পরের রাউন্ডে বড় প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে আমি মুখিয়ে আছি।’

পিএসভিকে সহজেই পরাজিত করেছে ১৯৯৭ সালের বিজয়ী ডর্টমুন্ড। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে বড় পরীক্ষার মুখে পড়তে যাচ্ছে। ২০২১ সালের পর আবারও শেষ আটের টিকিট পেয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। ডর্টমুন্ড কোচ এডিন টারজিক বলেন, ‘প্রথমার্ধ নিয়ে আমি দারুণ খুশি। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। কিন্তু দিনের শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা দারুণ স্বস্তির। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’ পিএসভি ম্যাচে বেশকিছু সুযোগ নষ্ট করে নিজেদের দুর্ভাগ্য নিজেরাই লিখেছে। ইনজুরি টাইমে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন লুক ডি জং। ২০১৭ সালে মাত্র ৬ মাসের জন্য ডর্টমুন্ডে হতাশাজনক সময় কাটিয়েছেন পিএসভি বস পিটার বজ। কাল ম্যাচ শেষে বজ বলেন, ‘ম্যাচটি আমাদের আয়ত্তের মধ্যেই ছিল। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সর্বোচ্চ পর্যায়ের খেলা। আমরা সত্যিই হতাশ।’

বুন্দেসলিগায় জাভি আলনসোর বায়ার লেভারকুসেনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে ডর্টমুন্ড। এরই মধ্যে জার্মান কাপ থেকেও বিদায় নিয়েছে দলটি। যে কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগই একমাত্র ভরসা হিসেবে তাদের সামনে টিকে রয়েছে। ঘরোয়া আসরে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ইউরোপে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে ডর্টমুন্ড। গ্রুপ পর্বে তারা পিএসজি, এসি মিলান ও নিইক্যাসলকে পরাজিত করে নকআউট পর্বে উঠেছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close