ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১২ জানুয়ারি, ২০২৪

ভালো উইকেটের আশা বিসিবির

বিপিএল এলেই মিরপুরের উইকেট থাকে আলোচনায়। বেশিরভাগ সময় মন্থর উইকেটটি হয়ে পড়ে বোলারদের সহায়ক। ব্যাটাররা স্ট্রোক খেলতে গেলেই পড়েন বিপদে। তবে এবার ভিন্ন কিছুর আশা করছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকরা। উইকেট নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই কাজ করছে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটি। চেয়ারম্যান মাহবুব আনামের নেতৃত্বে কয়েকটি সভাও হতে দেখা যায়। মিরপুরের প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে নিয়ে তিন নির্বাচক উইকেট খতিয়ে দেখেন। বিপিএলে যেহেতু সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হয় মিরপুরেই, কয়েক ম্যাচ পর এখানে উইকেট হয়ে পড়ে চ্যালেঞ্জিং।

গত ডিসেম্বরে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর এই মাঠ হয়েছে ঘরোয়া আসর বিসিএল ওয়ানডের ফাইনাল। বিসিএলের ফাইনাল হয়েছে এক পাশের উইকেট। মাঝের মূল উইকেটগুলো ছিল ঘাসে ঢাকা। নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানালেন, গত কয়েক মাসে খুব বেশি খেলা না হওয়ায় এবার উইকেট নিয়ে তারা আশাবাদী, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা সব সময় এমন উইকেট চাই যেখানে রান হবে, ব্যাটাররা শট খেলতে পারবে। এবার তেমনও চাইছি। এই উইকেট বানাতে পর্যাপ্ত সময় ছিল। আশা করছি ভালো উইকেট হবে।’ বিপিএলে প্রতিদিনই আছে দুটি করে ম্যাচ। হাবিবুলের শঙ্কা, দিন গড়ালে দিনের শেষ ম্যাচের জন্য উইকেটে পড়তে পারে প্রভাব, ‘সমস্যা হচ্ছে, দিনের শেষ খেলাটা শেষ হবে রাত ১০টায়। পরের দিন দুপুরে আবার ম্যাচ। শিশির থেকে শুকাতে উইকেট পর্যাপ্ত সময় পাবে না।’

এদিকে কখনো উইকেট, কখনো বিদেশি ক্রিকেটারের মান আবার কখনো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সমালোচনা হয় ব্রডকাস্টিং নিয়ে। বিপিএলের প্রতি আসরেই সমালোচনা সঙ্গী হয়ে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তবে এবারের মৌসুম সমালোচনামুক্ত হবে বলে আশা করছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। বিপিএলের গত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে ব্রডকাস্টিংয়ের সঙ্গে যুক্ত টুর্নামেন্টের গ্রাফিক্স নিয়ে। যেখানে অনেক ক্রিকেটারের তথ্য দিতে গিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। কখনো ইকোনমি রেট অস্বাভাবিক দেখিয়েছেন আবার কখনো ৫০ হাফ সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারের রান দেখানো হয়েছে ২ হাজারের কম। ক্রিকেটারদের বয়স দেখাতে গিয়ে একজনের বয়স দেখানো হয়েছিল ১০০-এর বেশি। জার্সি নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই। ক্রিকেটাররা অনুশীলনে নামলেও তাদের বেশির ভাগেরই ছিল অনুশীলন কিট। যা নিয়ে দল ও বিসিবিকে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে পর্দা উঠছে বিপিএলের এবারের আসরের।

নতুন মৌসুম শুরুর মাসখানেক আগে থেকেই নিজের সরব উপস্থিতি দেখাচ্ছে বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সব প্রকার প্রস্তুতি নিয়েই বিপিএল শুরু করছে বলে জানান নান্নু। বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক মনে করেন, এবার সফলভাবে শেষ হবে বিপিএল। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নান্নু বলেন, ‘আশা করছি (সমালোচনামুক্ত বিপিএল হবে)। একটা টুর্নামেন্ট চলতে গেলে তো অনেক কিছু দেখতে হয়। এ বছর কিন্তু সব প্রস্তুতি নিয়েই শুরু হচ্ছে। আশা করছি সফলভাবে হবে।’

বিপিএলের মাধ্যমে অনেক ক্রিকেটারই নিজেদের নতুনভাবে চেনানোর সুযোগ পান। শেখ মেহেদী হাসান, মুনিম শাহরিয়ারের মতো ক্রিকেটাররা এসেছেন বিপিএলে আলো ছড়িয়ে। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। বিপিএলে ভালো করলে সুযোগ থাকবে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেওয়ার। নান্নুর চাওয়া, অবশ্য ক্রিকেটাররা এসব না ভেবে নিজেদের কাজটা করুক। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের প্রথম কাজই হলো ক্রিকেট খেলা, নিজের পারফরম্যান্সটাকে ধরে রাখা। যেখানে সুযোগ পাবে নিজের পারফরম্যান্সকে দিতে হবে এবং সেরা খেলাটা খেলতে হবে। এটা হলো ওদের দায়িত্ব। কোথায় কি হচ্ছে, এটা নিয়ে চিন্তা করা খেলোয়াড়দের দায়িত্ব না। যখন মাঠে যাবে তখন সেরা খেলাটা দিতে হবে।’

ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকতা নিয়ে নান্নু বলেন, ‘পারফরম্যান্সে যদি ধারাবাহিকতা না থাকে তাহলে পারফরম্যান্সে রাখবেন কীভাবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই বলছিলাম- যেই যেখানে সুযোগ পাবে সেরাটা দিতে হবে, নিজের পারফরম্যান্সকে একটা আদর্শ অবস্থায় রাখতে হবে। সামনে বিশ্বকাপ আছে, কন্টিনিউ এই প্রক্রিয়ার মাঝে থাকতে হবে। যেটা উন্নতির দিকে যায়। এখানে যদি ভালো করতে পারে তাহলে ওইখানে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস পাবে বিশ্বকাপে ভালো খেলার জন্য।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close