ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২১ মে, ২০২৪

বিশ্বকাপে সেরাটা দিতে চান মেহেদী

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের নিয়মিত সদস্য হয়ে গেছেন শেখ মেহেদী। দারুণ পারফরম্যান্সের কারণে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা করে নিয়েছেন এ অলরাউন্ডার। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করে দেখাতে চান মেহেদী। নিজের সহজাত খেলার থেকে বড় মঞ্চে আরো ভালো পারফর্ম করতে চান তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রকাশিত ভিডিওবার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন মেহেদী।

প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে দলকে দ্বিতীয় রাউন্ডে নেওয়াই প্রাথমিক লক্ষ্য এ অলরাউন্ডারের। সুযোগ পেলে দলকে নিয়ে যেতে চান আরো সামনে। মেহেদী বলেন, ‘ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ আছে (বিশ্বকাপে)। প্রথম রাউন্ড শেষ করে পরের রাউন্ডে আগে যাওয়া। এজ ইউজুয়াল, আমি যেভাবে পারফরম্যান্স করি, ওভাবে করতে চাই না বিশ্বকাপে। এর থেকে বেটার, আরো ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই।’ জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে বোলিং করার মতো চ্যালেঞ্জিং কাজটি প্রায় প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছেন মেহেদী। এ ফরম্যাটের বাস্তবতায় পাওয়ার প্লেতে বোলিং করাটা বেশি কঠিন। সেটি উপভোগ করাই লক্ষ্য তার। তিনি আরো বলেন, ‘উপভোগ করা থেকে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি সেখানে। যেহেতু পাওয়ার প্লেতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট... রানের খেলা। তো এখানে নিজেকে যত কম রানে আটকানো যায় আর কী বোলিং করে। তো ওই চ্যালেঞ্জ বেশি থাকে। উপভোগ থেকে চ্যালেঞ্জ বেশি থাকে। কঠিন পরিস্থিতি থাকে পাওয়ার প্লেতে। তো উপভোগ তো একদমই থাকে না। তো ওখানে যদি উপভোগ করতে পারি, তাহলে দলের লাভটাই বেশি হয়।’

জাতীয় দলের বর্তমান পরিবেশটাও বেশ সুন্দর বলে জানান মেহেদী। সিনিয়র-জুনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে যথেষ্ট ভ্রাতৃত্ববোধ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকায় ফুরফুরে মেজাজেই মাঠে নামতে পারে নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ দল। মেহেদী বলেন, ‘রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই এখানে সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার। বয়স হিসেবে। রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে আমরা খুব ফ্রেন্ডলি মিশি, খুব আন্তরিকভাবে। রিয়াদ ভাই আমাদের সঙ্গে খুব মজা করে, ঠাট্টা করে। এটাই আমাদের ড্রেসিং রুমের পরিবেশ। আমাদের এখন সিনিয়র-জুনিয়র নাই, সবার সঙ্গে সবাই ঠাট্টা-মজা করে এভাবেই। মজা করেই আমরা সময় কাটাই। কাজের সময় খুব সিরিয়াস থাকি।’ এদিকে ক্রিকেট বোঝার পর থেকেই বর্তমান সতীর্থ এবং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে আইডল হিসেবে মেনে নিয়েছেন মেহেদী। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিনিশিং থেকেও প্রতিনিয়ত শিখছেন এ অলরাউন্ডার।

মেহেদী আরো বলেন, ‘আমি যখন থেকে ক্রিকেট খেলা বুঝি, তখন থেকে সাকিব ভাইয়ের খেলা খুব ভালো লাগত। আমি যখন সাত-আটে ব্যাটিং করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম, তখন থেকে রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিং আমার খুব ভালো লাগত, একজন ফিনিশার হিসেবে। সাকিব ভাই আইডল বলতে পারেন, রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিং ভালো লাগে।’ এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে বলে প্রত্যাশা করেন সাবেক অধিনায়ক মাশরফি বিন মর্তুজা। দল কতদূর যাবে সেই ব্যাপারে অনুমান করতে না পারলেও গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। গ্রুপের কঠিন দুই প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা দুই দলকেই নাজমুল হোসেন শান্তদের হারানো উচিত বলেও মত মাশরাফির।

এবার যুক্তরাষ্ট্র ও উইন্ডিজে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পড়েছে ‘ডি’ গ্রুপে। দুই টেস্ট খেলুড়ে দেশের পাশাপাশি নেপাল ও নেদারল্যান্ডসও আছে এই গ্রুপে। বাংলাদেশের মূল পরীক্ষা অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই। ৮ জুন ডালাসে শ্রীলঙ্কা এবং ১০ জুন নিউইয়র্কে প্রোটিয়াদের সঙ্গে লড়বেন লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এ দুই ম্যাচের ওপরই মূলত নির্ভর করছে পরের রাউন্ডে যাওয়া না যাওয়া। সাম্প্রতিক ছন্দ বিচারে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন মনে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টেরই। দল ঘোষণার দিন প্রধান নির্বাচকই দেন সেই আভাস। তবে মাশরাফি মনে করেন, নিজেদের সেরা দিনে এ দুই প্রতিপক্ষকেই হারানোর চিন্তা থাকা উচিত দলের, আজ অলিম্পিক অ্যাসোশিয়েশনে কাবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজনে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তো জেতা উচিত। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে একবার সিরিজ জিতে এসেছে, যদিও ওয়ানডে ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close