মনোনয়নের পথে প্রার্থীরা
এগিয়ে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো যে যার মতো ঘর গোছানোয় ব্যস্ত। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ব্যস্ততা একটু বেশিই। বিএনপি তার পুরনো মিত্রদের পরিত্যাগ করেনি। ইতোমধ্যেই নমিনেশন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এলাকায় কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে নিজেদের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করলেও সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা এখনো আসেনি। তবে মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে আওয়ামী লীগের একটি চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে। ইতোমধ্যেই যা সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রশংসিত হয়েছে।
সংবাদপত্রে শিরোনাম ছিল, ‘আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাচ্ছেন না ১৩০ এমপি। বর্তমান এমপিদের জন্য এ সংবাদটি কোনো সুখবর না হলেও পোড় খাওয়া মাঠকর্মী ও নেতাদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, নানা দুষ্কর্ম আর জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিতর্কিত বর্তমান এমপিদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। ছয় মাস আগের তালিকায় ৮০ জন থাকলেও বর্তমান তালিকা ১৩০-এ উন্নীত হয়েছে। দলীয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের তথ্য, সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক স্তরের সর্বশেষ জরিপে ১৩০ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অন্তত দশ ধরনের নেতিবাচক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আগামী নির্বাচনে এসব সংসদ সদস্যের মনোনয়ন না দেওয়ার বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আভাস দেওয়া হয়েছে এ তালিকা আরো দীর্ঘ হতে পারে। চূড়ান্ত মনোনয়নের আগ পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। জরিপে যে ১০ ধরনের অভিযোগ উঠেছে তার মাঝে এলাকায় গডফাদারের ভূমিকা, সন্ত্রসী কর্মকান্ড চালানো, নির্বাচনী এলাকায় জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা, গ্রুপিং করে নেতাকর্মীদের বিভক্ত রাখা এবং নানা প্রকার দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়গুলোই অন্যতম।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এক বছর আগে থেকেই প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে মন্ত্রী-এমপিদের কে কোথায় কী করছেন, সে তথ্য ছাড়াও সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। এবারের নির্বাচনে নেতাকর্মীদের কাছে ভালো ভাবমূর্তি ও জনসাধারণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, এলাকায় সুপরিচিত, মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, সংগঠক হিসেবে দক্ষ, সৎ, নিষ্ঠাবান ও শিক্ষিতরাই দলীয় প্রতীক পাবেন। এ ছাড়া সাংগঠনিক কাজে সংশ্লিষ্ট না থেকে দলীয় আদর্শ ধারণ করে অন্য পেশায় নিয়োজিতদের ভেতর থেকেও মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমরা মনে করি, এবারে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়াটা আগের ন্যায় জলবৎ তরলং না হওযারই সম্ভাবনা বেশি। মনোনয়ন পেতে হলে যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কেননা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ মুহূর্তে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার।
"