প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০১ মে, ২০২৪

গাজায় ধ্বংসস্তূপে পচছে ১০ হাজার মরদেহ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের বিমান হামলায় শত শত ভবন ধ্বংস হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে রয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষের মরদেহ। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ফলে এগুলো সেখানে থেকেই পচছে। খবর আল জাজিরা ও বিবিসির।

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রায় পুরো গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৩৫ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া ১০ হাজারের বেশি মানুষ বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে।

ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া এসব মরদেহ পচে এখন রোগ বালাই ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে বলেছে, “ধ্বংসস্তূপের নিচে অব্যাহতভাবে জমা হওয়া কয়েক হাজার মরদেহ রোগবালাই ছড়ানো শুরু করেছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের গরমের তীব্রতা বাড়ার কারণে মরদেহগুলো দ্রুত গতিতে পচছে।”

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাপন্থী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ ইসরায়েলের ১১৩৯ লোক নিহত হয়। হামাসের সদস্যরা ২৪০ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে। ওই দিন থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজার ৩৪ হাজার ৫৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরায়েল কর্তৃক সার্বিক অবরোধের ফলে গাজায় এখন খাবার, পানি ও ওষুধের অভাবে গাজায় মানবিক বিপর্যয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো।

হামলা অব্যাহত: ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি বিমান ও ড্রোন হামলায় গাজায় একদিনে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে। দেশটিতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে তিনজন এবং গাজা শহরে দুইজন নিহত হয়েছেন। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। গাজা নগরীতে দুটি বাড়িতে হামলায় আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনকে শীঘ্রই স্বীকৃতি দেবে ইইউ : রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কিছু দেশ সম্মত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, মে মাস শেষ হওয়ার আগেই ইউরোপের দেশগুলোর জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বোরেল সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলন। জোসেপ বোরেল ইইউ প্রতিনিধি হিসেবে সেই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সম্মেলনের এক ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বোরেল বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়া অনেকখানি এগিয়ে আছে। গত মাসেই জানিয়েছিল, শিগগিরই তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close