ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
মমেকে কুকুরের মুখে নবজাতকরে লাশ, কর্তৃপক্ষের দাবি ছবিটি পুরনো
ফুটফুটে এক নবজাতকের লাশ মুখে নিয়ে ছুটছে একটি কুকুর। এমন একটি ছবি গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুকে) ভাইরাল হয়েছে।
এ নিয়ে নেটিজেনদের ক্ষোভ ও অসন্তোষে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এতে বাদ যায়নি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালও। নেটিজেনরা বলছেন ছবিটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিতরের ছবি ।ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে হাসপাতালের ভেতরে-বাইরেও।
অন্যদিকে মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো.জাকিউর রহমান ভাইরাল হওয়া ছবিটি পুরনো দাবি করে বলেন, ছবিটি আমি দেখেছি, ভাইরাল হওয়া ছবিটি ২০১৫ সালের। এটা নতুন কোনো ঘটনা না। তাছাড়া এ ধরনের ঘটনা আমাদের হাসপাতালে ঘটেনি।
কিন্তু উপ-পরিচালকের এই দাবি মানতে নারাজ ময়মনসিংহ নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাসপাতাল সংলগ্ন চরপাড়া এলাকার মেসার্স মেডিকেয়ার এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. শাহজালাল হৃদয়।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ সালেও নগরীর বাঘমারা এলাকার কোনো একটি ক্লিনিকে এ ধরনের ঘটনার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। তবে গতকাল যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে ওই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড বলছে অন্য কথা। কারণ ছবিতে দেখা গেছে নবজাতকের লাশ কামড়ে ধরে কুকুরটি যে পথে হেঁটে যাচ্ছে সেখানের লোকেশনে নীল টিনের বেড়া দেখা যায়। এতে বোঝা যায়- ছবিটি মমেক হাসপাতাল এলাকার বর্তমান সময়ের ছবি। কারণ বর্তমানে হাসপাতালের ভেতরে নতুন বিল্ডিংয়ের কাজ চলছে নীল টিনের বেড়া দিয়ে।
নানা ধরনের শিরোনামে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নানা ধরনের পোস্ট করছে ।নেটিজেনরা নানা ধরনের মন্তব্য করছে এই ছবি দেখে। অধিকাংশ মন্তব্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে নেটিজেনরা।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছে, এই দায়ভার কার? ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে আউটসোর্সিং এর শত শত লোক নিয়োগ দিয়েছে। এই লোকগুলিকে দেখভাল করার জন্য আবার সুপারভাইজার নিয়োগ করেছেন। যারা পরিচ্ছন্নতা কর্মী আছেন তারা যদি সঠিকভাবে এই জিনিসগুলি সংরক্ষণ করতেন আজকের এই দৃশ্য মানুষের দেখতে হতো না। যেভাবেই বলেন না কেন এর দায়ভার কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে মন্তব্য করছেন অনেকেই। আনসার ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলামের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,ফেসবুকে ছবিটি দেখেছি এবং হাসপাতাল এলাকার অনেকের কাছেও শুনেছি। তবে এ বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য আমার জানা নেই।
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম কাছে জানতে চাইলে জানান ভেতরে এমন কোনো ধরনের ঘটনার খবর আমরা পাইনি। তবে বাইরের অনেকেই বলছে এবং ফেসবুকে আমিও দেখেছি। হাসপাতালের ভেতরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা জানতাম।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন বলেন, ছবিটি ফেসবুকে আমিও দেখেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য আমার জানা নেই।