প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০২ মার্চ, ২০২৪

পাকিস্তানে দিনে যৌন নির্যাতনের শিকার ১১ শিশু

২০২৩ সালে পাকিস্তানে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪ হাজার ২১৩ শিশু, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১১ শিশু নির্যাতিত হয়েছে। এ শিশুদের মধ্যে মেয়ে এবং ছেলে উভয়ই রয়েছে। গতকাল শুক্রবার ‘ক্রুয়েল নাম্বার্স-২০২৩’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইটস (এনসিএইচআর)।

প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, গত বছর দেশটির চার প্রদেশ পাঞ্জাব, সিন্ধ, খাইবার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান এবং তিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ইসলামাবাদ, আজাদ কাশ্মীর এবং গিলগিট বালচিস্তান সবখানে ঘটেছে শিশু নির্যাতন। তবে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে পাঞ্জাব প্রদেশে। এনসিএইচআরের তথ্যানুযায়ী, শতাংশ হিসেবে ৪ হাজার ২১৩ শিশু নির্যাতনের ঘটনার ৭৫ শতাংশই ঘটেছে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে। এছাড় সিন্ধে ১৩ শতাংশ সিন্ধের, ইসলামাবাদে ৭, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩ এবং বেলুচিস্তানে ২ শতাংশ, আজাদ কাশ্মীরে ২ এবং গিলগিট বালচিস্তানে ২ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার মেয়ে ও ছেলে শিশুদের আনুপাতিক হারও বেশ কাছাকাছি। এনসিএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতিত ৪ হাজার ২১৩ শিশুর মধ্যে মেয়ে শিশুর সংখ্যা ২ হাজার ২৫১ জন (৫৩ শতাংশ) এবং ছেলে শিশুর সংখ্যা ১ হাজার ৯৬২ জন (৪৭ শতাংশ)।

নির্যাতিতদের মধ্যে বালক-বালিকা, কিশোর-কিশোরী ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ৫ বছর বা তার চেয়েও কম বয়সি শিশুও রয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্যাতকের ভূমিকায় এসেছে আত্মীয়স্বজন, পরিবারের সদস্য, অপরিচিতরা। প্রতিবেদনটি প্রস্তুতে মাঠপর্যায় থেকে শিশু নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা সংগ্রহ ও যাচাই করে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনকে সহযোগিতা করেছে দেশটির এনজিও সংস্থা সাহিল। যে ৪ হাজারের বেশি শিশু নির্যাতনের ঘটনা গত বছর ঘটেছে, সেগুলোর ৯১ শতাংশ পুলিশের নথিতে মামলা আকারে লিপিবদ্ধ রয়েছে। বাকি ৮ শতাংশ ঘটনা পুলিশ পর্যন্ত যেতে পারেনি। এছাড়া গত বছর অপহৃত হয়েছে ১ হাজার ৮৩৩ শিশু এবং নিখোঁজ হয়েছে ৩৩০ এবং বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ২৯ শিশু। এদের মধ্যে ২৭ জন মেয়ে এবং ২ জন ছেলে। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছে এনসিএইচআর। সেখানে সংস্থার চেয়ারপারসন রাবিয়া জাভেরি আগা বলেন, ‘(শিশু নির্যাতনের) এ সংখ্যা অবশ্যই নিষ্ঠুর, কিন্তু এটি সত্য এবং আমাদের অবশ্যই এ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। পাকিস্তানে শিশু নির্যাতন যে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, তার প্রমাণ এ সংখ্যা। এটা খুবই দুঃখজনক যে পাকিস্তানের সরকার এখনো শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ে কোনো অ্যাকশনপ্ল্যান গ্রহণ করেনি, কিন্তু আমাদের উচিত হবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সরকার এবং জনগণ উভয়কেই এ ইস্যুতে সচেতন করা। শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বন্ধ করা।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close