খেলা ডেস্ক
আশাবাদী হাবিবুল বাশার
আগের দুই আসরে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ, কিন্তু ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েই জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই পর্যন্ত আসার পথে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি হাবিবুল বাশার সুমন তাদের একজন। প্রথম খেলেয়াড় এবং অধিনায়ক হিসেবে, পরে নির্বাচক হিসেবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ায় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। বাংলাদেশের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক বতর্মান দলকে নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আইসিসির এক ওয়েবসাইটে। সেখানে লেখা এক কলামে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক লিখেছেন, ‘২০০৯ ও ২০১৩ সালের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা পাওয়াতে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। বলতে গেলে এর অনুভূতি অসাধারণ। এই টুর্নামেন্টে আমাদের সে রকম কোনো ফল না থাকলেও আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস জড়িয়ে আছে এর সঙ্গেই।’
শুরুর দিকেই তিনি টেনে আনে প্রথম আসরের কথা। যেই আসরের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, ‘গর্বের সঙ্গেই বলতে পারি, ১৯৯৮ সালে এর আয়োজক ছিলাম আমরাই। তখন এর নাম ছিল, আইসিসি নকআউট ট্রফি। এমনকি ওই আসরে আমরা এতে খেলার সুযোগই পাইনি। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্পটলাইটে আসার মতো সুযোগ এটাই ছিল প্রথমবারের মতো। তখন যেই উন্মাদনার ঢেউ বাংলাদেশের মানুষদের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল; তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। প্রথম বারের মতো বাংলাদেশের খেলার সুযোগ আসে দ্বিতীয় সংস্করণে। তখনকার অভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে বাশার লিখেছেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় সংস্করণেই আসে আসল সুযোগ। নাইরোবিতে ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের কাছেই ৮ উইকেটে বিশাল হার দিয়ে শুরু। এবারই প্রথম আমরা বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গে হোটেলে একই সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাই। তাদের সঙ্গে সব ধরনের অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের সুযোগ পাই। বলতে গেলে ওই সময়টাই ছিল আমাদের প্রথমবারের মতো চোখ মেলে দেখার সুবর্ণ সুযোগ। আমি সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে চাই, আমাদের ক্রিকেট যে এ পর্যায়ে এসেছে তার প্রেরণা কিন্তু এসেছে এসব জায়গা থেকেই।’ এ সময় তিনি আরো লেখেন, ‘২০০২ ও ২০০৪ সালে দেশে খালি হাতে ফিরলেও আমাদের অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার ছিল সমদ্ধ। আর ২০০৬ সালে বাছাই পর্ব পার হয়েই আমাদের আসতে হয়। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারলেও আমরা প্রথম জয়টা পাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই।’ তবে এখন ভিন্ন পরিস্থিতি। ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শক্তি হয়ে ওঠা বাংলাদেশকে নিয়ে এভাবেই দেখছেন বাশার, ‘বাংলাদেশ আগে দুই সংস্করণ মিস করলেও বাংলাদেশ কিন্তু গর্ব করতেই পারে যে তারা এই সংস্করণে যোগ্যতার বিচারেই জায়গা পেয়েছে। বর্তমানে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে। এমনকি গত দুই বছরে আমাদের অসাধারণ সব সাফল্য রয়েছে। ঘরের মাঠেই জিতেছিল ৫টি ওয়ানডে সিরিজ পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলোকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাই এখান থেকেই আত্মবিশ্বাস ও প্রেরণা কাজ করছে।’
"