reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রামের বন সংরক্ষণে জরিপ করা প্রয়োজন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ। পার্বত্য অঞ্চলের বন সংরক্ষণের জন্য জরিপ করা প্রয়োজন। বৃক্ষনিধন রোধ ও বন সংরক্ষণ করা না হলে পার্বত্য অঞ্চলের অপার সৌন্দর্য্য একদিন রূপকথায় পরিণত হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রবিবার খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পর্যটন মোটেল অডিটোরিয়ামে দ্বিতীয় জাতীয় বৃক্ষ ও বন জরিপ-২০২৪ অবহিতকরণ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পানির প্রবাহ ও লেয়ার যেভাবে কমে যাচ্ছে, তাতে এমন এক সময় আসবে, যেদিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির ভীষণ ঘাটতি দেখা দেবে। চেঙ্গী নদী, মাতামুহুরী ও মনু নদীতে একসময় পানির প্রচুর প্রবাহ ছিল। কিন্তু, এখন পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। নদীর নাব্য ও গভীরতা নেই বললেই চলে। নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব বেড়েছে। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। নবউদ্ভাবিত প্রযুক্তি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ও দৃষ্টিভঙ্গি জনস্বার্থে চলমান থাকবেই। নাগরিক হিসেবে পরিবেশের সৌন্দর্য রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের দায়িত্ববোধে অবহেলা যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে, ডোবা-নালা ভরাট করে যাতে বাড়ি-ঘর বা ফসলি জমি না গড়া হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বন সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা জোনগুলোর ব্যবহার যাতে সঠিক ও অক্ষুণ্ন থাকে, সেদিকে সকলের সতর্ক দৃষ্টি থাকতে হবে। বনাঞ্চলের বৃক্ষ ও বনজ সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং বনাঞ্চলে কী কী প্রাণী রয়েছে, তা নির্ণয় ও সংরক্ষণের প্রয়োজনে বন জরিপের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। একটি দেশের জন্য ২৫ ভাগ বন থাকা প্রয়োজন। সে জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারলাম কি না, তা জানার জন্যও বন জরিপের গুরুত্ব অপরিসীম।

অবহিতকরণ সভায় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় পরামর্শক ও ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা প্রজেক্টরের সাহায্যে বাংলাদেশসহ পার্বত্য অঞ্চলে জোনিং পদ্ধতিতে বৃক্ষ ও বন সংরক্ষণের চিত্র তুলে ধরেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নিলোৎপল খীসার সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন—খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া, বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা সাহেদুজ্জামান প্রমুখ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close