ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

শোয়েবের ফিক্সিংয়ের প্রতিবাদে বরিশাল

তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে দুদিনের ছুটি নিয়ে দুবাই গেলেন শোয়েব মালিক। সেখান থেকে জানালেন, ফিরতে আরো দেরি হবে। অতঃপর নাটকীয়ভাবে বিপিএল থেকে বিদায় ঘটল ফরচুন বরিশালের পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকের। বিপিএলের ঢাকা পর্বের একটি ম্যাচে তার ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ ওঠায় বরিশাল চাচ্ছিল না শোয়েবকে আর খেলাতে। এক পর্যায়ে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার নিজেই সেই সুযোগটা তৈরি করে দেন। গত ২২ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছিল ফরচুন বরিশাল। সে ম্যাচে খুলনার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শোয়েব মালিক তিনটি ‘নো বল’ দেন! তখনই প্রশ্ন ওঠে, একজন অফস্পিনার কীভাবে একই ওভারে তিনটি ‘নো বল’ করতে পারেন? ওভারটিতে তিনটি ‘নো বল’সহ দুই চার ও এক ছক্কায় ১৮ রান দেন মালিক। মূলত ওই ওভারেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় খুলনা। শেষ পর্যন্ত ১৮৭ রান টপকে তারা জিতে যায় ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।

ওই ম্যাচে শোয়েব মালিককে দিয়ে আর বোলিং করাননি বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুধু তাই নয়, এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষেও তাকে দিয়ে বোলিং করানো হয়নি। বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক মিজানুর রহমান ‘নট আউট নোমান’কে জানান, দলের ক্রিকেটার, কোচ এবং মালিকপক্ষের সবাই মনে করছেন যে, ওই তিনটি নো বলের পেছনে কোনো ‘ঘটনা’ আছে। সেই ‘ঘটনা’ যে ফিক্সিং নিয়ে- তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ কারণে টিম ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্ত ছিল, শোয়েবকে দিয়ে আর বোলিং করানো হবে না। শুধু তাই নয়, সেই তিন নো বলের ম্যাচ শেষে ডাগ আউটে শোয়েবকে ধমকেছিলেন বরিশালের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ডেভ হোয়াটমোর। এ খ্যাতিমান কোচেরও সন্দেহ, ওই তিন নো বলের পেছনে কোনো গোলমেলে ব্যাপার আছে!

এদিকে এমন দাবির প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফরচুন বরিশালের কর্ণধার মিজানুর রহমান। তিনি ক্রিকেটার হিসেবে শোয়েব মালিকের প্রশংসা করেছেন। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত এড়িয়ে গেছেন তিনি। মিজানুর বলেছেন, ‘সবশেষ কয়েক দিন কথা বলতে শুনছি শোয়েব মালিককে নিয়ে। আমি ওইটার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close