নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

শান্তিপূর্ণ ভোটে নৌকার জয়

টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পথে আওয়ামী লীগ, রেকর্ডবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জয়ের রেকর্ড গড়ল স্বাধীনতা-সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে গতকাল রবিবার ২৯৯ আসনে ভোট হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম এবং দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার রাত ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯৯ আসনে মধ্যে ১৫২ আসনে বিজয়ী হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দল। আর এ নিরঙ্কুশ জয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন এবং রেকর্ড চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছাপিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোটের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবন থেকে ফল ঘোষণা শুরু হয়। এর আগে সারা দেশে ৪২ হাজার ৪৫৯ কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন ভোটাররা। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ভোটকেন্দ্রগুলোয় পুরুষের তুলনায় নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

ইভিএম না থাকায় ভোটারদের দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। বুথে ঢুকে স্বস্তিতে ভোট দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরেছেন ভোটাররা। যদিও বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন এ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ, যা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯৯ সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৯৯টির বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়; যার মধ্যে ১৫২টিতে আওয়ামী লীগ, ৩৭টিতে স্বতন্ত্র, ৭টিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

ভোটের মাঠে জয়ী যারা : গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আসনে ১০৮ কেন্দ্রের ঘোষিত ফল অনুযায়ী, শেখ হাসিনা (নৌকা) ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আবুল কালাম (আমণ্ডএনপিপি) ৪৬০ ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী মাহাবুর মোল্যা (গোলাপ ফুল-জাকের পার্টি) পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।

নোয়াখালী-৫ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ১৪৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ পেয়েছেন (লাঙ্গল) ৯ হাজার ৭১৯ ভোট।

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী আবু বক্কর ছিদ্দিক পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬০ ভোট।

শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৪। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে প্রাপ্ত ফলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ আসনে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শাহীন খান পেয়েছেন ৬৫৮৬ ভোট।

নাটোর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলক বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে পলক পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯১। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৩ হাজার ১৯৯ ভোট।

নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতা (স্বতন্ত্র) ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭১৯ ভোট।

হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করেন তিনি। সুমন ১ লাখ ৯৮ হাজার ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে মাহবুব আলী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ভোট।

সহিংসতা ছাড়াই ভোট সম্পন্নে স্বস্তি সিইসির : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে ‘৪০ শতাংশের মতো’ ভোট পড়েছে। কিছুটা ব্যত্যয় হতে পারে। এটা বাড়বে কি কমবে- এখন বলতে পারছি না। আরো বাড়তে পারে। আবার নাও বাড়তে পারে। মোটামুটি আমাদের যে শঙ্কা ছিল, ভোটার উপস্থিতি কম হবে। তবে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাধীনভাবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন।

রবিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকে। তবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। একটা ভালো খবর হলো- নির্বাচনী সহিংসতায় কোনো মৃত্যু ঘটেনি। এছাড়া ছোট ছোট কিছু আহত হয়েও থাকতে পারে, যার খবর আমাদের কাছে আসেনি। তবে সংবাদ এসেছে ভোট কারচুপি ও সিল মারার চেষ্টা হয়েছে। বিভিন্ন টিভি-চ্যানেলে সেগুলো প্রকাশিত হয়েছে।

ভোটের মাঝামাঝি এসে বর্জনের ঘোষণা ২০ প্রার্থীর : অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ভোটের দিন চট্টগ্রামে-১৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ ভালো নেই দাবি করে ভোটের মাঝামাঝি এসে অন্তত ২০ প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। তাদের মধ্যে সিলেট বিভাগের ৭ প্রার্থী, রাজশাহী বিভাগের ২ ও রংপুর বিভাগের ৩ জন রয়েছেন। যদিও ইসির কাছে কতজন নির্বাচন বর্জন করেছেন, তার কোনো তথ্য নেই।

সারা দেশে ১৪০ কেন্দ্রে অনিয়ম : বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় সারা দেশে ১৪০ কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। ইসি সূত্র জানায়, ১৪০টির মধ্যে খুলনায় ২৪, বরিশালে ১৪, রংপুরে ৪, রাজশাহীতে ৮, ঢাকায় ২০, ময়মনসিংহে ১১, চট্টগ্রামে ৪৫ ও সিলেটে ১৪টি কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে এ তালিকা করেছে ইসি। এদিকে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে ৪২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

৯ আসনের ২১ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত : সহিংসতার অভিযোগে সারা দেশের ৯টি আসনের ২১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। স্থগিত হওয়া ভোট কেন্দ্রগুলো হলো- সুনামগঞ্জ-২ : মিরাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকুরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়; কক্সবাজার-১ : চরনদীপ ভূমিহীন প্রাইমারি স্কুল, দক্ষিণ ফুলছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরংগুনা অসুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; জামালপুর-৫ : জাগির মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; নরসিংদী-৪ : ইব্রাহীমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; নরসিংদী-৩ : দুলালপুর সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা, ভিটিচিনাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; টাঙ্গাইল-২ : কাহেতা সরকারি প্রাথমিক স্কুল; কুমিল্লা-৩ : ৭৬ নম্বর গুর্গারাম (ডিআর) পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ধনিরামপুর ডিডিএসওয়াই উচ্চবিদ্যালয়; কুমিল্লা-৪ : সূর্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কুমিল্লা-১১ : বগৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সামছুল হুদা দাখিল মাদরাসা, ধনিজকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমানগন্ডা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, হিংগুলা হাছানিয়া উচ্চবিদ্যালয়-১, হিংগুলা হাছানিয়া উচ্চবিদ্যালয়-২, বাতিসা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়-১।

সারা দেশে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিয়ে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

বগুড়া : বগুড়ায় দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটাররা শীতের আমেজ ভেঙে ভোটকেন্দ্রে আসেন। ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় ভিড় এড়িয়ে শৃঙ্খলভাবে ভোট দেন ভোটাররা। দুপুরে উপস্থিতি কম থাকলেও বিকেলে কিছুটা ভিড় বাড়ে।

রাঙামাটি : অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে রাঙামাটির ভোটার উপস্থিতি। এমনটাই দাবি আওয়ামী লীগ (নৌকা) প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের। তিনি বলেন, যারা বলেছেন মানুষ ভোট দেবেন না, তাদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন ভোটারা। ভোট কার্যক্রম শুরুর আগে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণ মানুষ সচেতন। তাই তারা ভোট দিতে এসেছেন। আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত।

গাইবান্ধা : গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনে ৬৪৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। শুরুতে উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে বাড়ে ভোটারের উপস্থিতি। দুপুর সাড়ে ১২টায় গাইবান্ধা-৫ আসনের সাঘাটা উপজেলার ভাংগামোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, পুরুষদের উপস্থিতি কম থাকলেও নারী ভোটারদের দীর্ঘলাইন। কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার মিরাজ হোসেন বলেন, এ কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ২৫ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৭ শতাংশ। একই চিত্র পাওয়া গেছে জেলার ৫টি আসনের অন্যান্য কেন্দ্রেও।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে। দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টায় তথ্যমন্ত্রীর আসন চট্টগ্রাম-৭ এ ভোট পড়েছে ২৬ শতাংশ। সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে চট্টগ্রাম-৫ আসনে, যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

পঞ্চগড় : সকাল ৮ থেকে পঞ্চগড়-১ ও পঞ্চগড়-২ আসনে কড়া নিরাপত্তায় কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকালে শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। জেলা সদর ও উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোয় মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

আত্রাই (নওগাঁ) : সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটাররা শীত উপেক্ষা করে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। সব কেন্দ্রেই ভোটার ছিল দেখার মতো। কেন্দ্রের বাইরেও ছিল মানুষের ভিড়-জটলা। একই দৃশ্য দেখা গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আসনে)। এ দুটি আসনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনকে চাঙ্গা করেছেন। এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসা কলারছড়ি প্রতীকের সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নৌকার প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close