লালমনিরহাট প্রতিনিধি

  ২৩ মে, ২০২৪

ব্লেড দিয়ে কেটে ক্ষতস্থানে মরিচ ও লবণ দিলেন স্বামী

হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন গৃহবধূ আনিছা

লালমনিরহাটে নেশার টাকা না পেয়ে আজিজুল ইসলাম নামে এক নেশাখোর তার স্ত্রীর ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন। নির্যাতনের শিকার আনিছা বেগম বর্তমানে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এ ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ২ নম্বর ফুলগাছ গ্রামে।

গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনায় আনিছার বাবা আমির হোসেন ৩ জনকে আসামি করে লালমনিরহাট সদর থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে আদিতমারীর দুর্গাপুরের গন্ধমরুয়া এলাকার আমির হোসেনের মেয়ে আনিছা বেগমের সঙ্গে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ২ নম্বর ফুলগাছ গ্রামের জাবুল ইসলামের ছেলে আজিজুলের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ঘরে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। কয়েক বছর ধরে আজিজুল নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন।

গত মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আজিজুল স্ত্রী আনিছাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দেন। এতে অস্বীকৃতি জানালে আজিজুল ক্ষিপ্ত হয়ে আনিছাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপান। নির্যাতনের একপর্যায়ে আনিছা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার শ্বশুর ও শাশুড়ির সহযোগিতায় ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে মরিচ ও লবণ লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় আনিছার চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে সাহায্যের জন্য ছুটে এলে তাদেরও ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। পরে প্রতিবেশীরা আনিছার বাবার বাড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে আনিছার বাবা এসে গুরুতর আহতাবস্থায় মেয়েকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে আনিছা লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আনিছার বাবা আমির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, লোকমুখে সংবাদ পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করতে যাই। আমার মেয়েকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের বাইরে ফেলে রাখেন তারা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। মেয়ের নির্যাতনের কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন আমির হোসেন।

এ ঘটনায় আনিছার স্বামী ও তার শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি। লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার সরকার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ভিকটিমের অবস্থা জানার জন্য হাসপাতালে অফিসার পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close