নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

অলির জামায়াত প্রীতির কারণে এলডিপি ২ টুকরা

কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) ভাঙন ধরেছে। একই নামে আরেকটি দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এলডিপির এই অংশের সাত সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। নতুন এলডিপির নেতারা বলেছেন, অলি আহমেদ অতি মাত্রায় জামায়াতে প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। তার এই জামায়াত নির্ভরতার কারণেই এলডিপি ভেঙে দুই টুকরা হয়ে গেল। এদিকে গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমেদ বলেছেন, এলডিপি তার নিবন্ধিত দল। এ নিয়ে অন্য কেউ দাবি করতে পারবে না। আবদুল করিম আব্বাসীকে আহ্বায়ক এবং শাহাদাত হোসেন সেলিমকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেন শাহাদাত হোসেন সেলিম। আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন আবদুল গণি, এম আবুল বাসার, সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, তৌহিদুল আনোয়ার ও কাজী মতিউর রহমান। এই নেতারা বলেছেন, অলির জামায়াত প্রীতি তাদের পছন্দ নয়, এ জন্য তারা অলির সঙ্গে দল করতে পারলেন না।

সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, সম্প্রতি সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিকভাবে দলের নির্বাহী কমিটি থেকে আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমরা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম।

এলডিপি ভেঙে নতুন এলডিপি গঠন প্রসঙ্গে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, অলির অতি জামায়াত নির্ভরতা ও প্রীতির কারণে তার সঙ্গে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। এছাড়া আমরা যেখানে ২০ দলীয় জোটে আছি, সেখানে কয়েকটি দল নিয়ে অলি আহমদের আলাদা জোট ‘মুক্তমঞ্চ’ করার কোনো যুক্তি ছিল না। সেই কারণে তার সঙ্গে আমাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এর ফল হিসেবে নতুন এলডিপি গঠন। এলডিপি থেকে অলি আহমদসহ কয়েকজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, আমরা আর অলি আহমদের সঙ্গে রাজনীতি করব না। বিএনপি ছেড়ে এসে অলি আহমদের সঙ্গে এলডিপি করাটা আমার মহাপাপ ছিল। আরেক প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, আমরা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে আছি। আশা করি, বিএনপি আমাদের সমর্থন দেবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৯ নভেম্বর রাতে এলডিপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে অলি আহমদ সভাপতি ও রেদোয়ান আহমেদ মহাসচিব হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন কমিটিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, তৌহিদুল আনোয়ার বাদ পড়েন। এর আগে অলির নেতৃত্বাধীন কমিটি থেকে বেরিয়ে আসেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আকদুল গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক এম আবুল বাসার ও দফতর সম্পাদক কাজী মতিউর রহমান। এছাড়া গত ২৬ জুন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন আবদুল করিম আব্বাসী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close