জামালপুর প্রতিনিধি

  ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সরিষাবাড়ীতে যমুনায় ফেলার হুমকি দেওয়া দুই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজেদের বাইরে অন্য প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে হাত-পা ভেঙে যমুনায় ফেলে দেওয়ার হুমকিদাতা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার প্রেস ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন— উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়। অপরজন দলের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক এবং পিংনা সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান। তারা সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলামের সমর্থক।


* পথসভায় অন্য প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে যমুনায় ফেলে দেওয়া হুমকি

* বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল

* উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেন


জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে দুজন কর্মী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উসকানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ। যা ২০১৬ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩-এর বিভিন্ন বিধান অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। একই সাথে হুমকিদাতা দুজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেপ্তার করে।

পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে এক পথসভায় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী বাইরে অন্য প্রার্থীর এজেন্টকে কোনো কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কেউ ঢুকলে তার হাত-পা ভেঙে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। পরে ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মিছিল পরবর্তী এক পথসভা হয়। সেখানে দেওয়া একটি বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সরিষাবাড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close