ক্রীড়া প্রতিবেদেক

  ১০ মে, ২০২৪

এবার লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ

জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে আজ শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে ৫ ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এবার হোয়াইটওয়াশে চোখ লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

সিরিজের শেষ ২ ম্যাচের জন্য অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং ইনফর্ম পেসার মুস্তাফিজুর রহমান দলে ফেরায় আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ইনজুরি থেকে সুস্থ হওয়ায় শেষ ২ ম্যাচের জন্য সাকিব-ফিজের সঙ্গে দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকারও। ব্যাটাররা এ পর্যন্ত নিজেদের সেরাটা দিতে না পারলেও সহজেই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে শক্তির বিচারে টাইগারদের সঙ্গে সমান অবস্থানে নেই জিম্বাবুয়ে। সিরিজ জয় নিশ্চিত হলেও চতুর্থ ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ সতর্ক বলে জানান পেসার তাসকিন আহমেদ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মোটেই আত্মপ্রসাদে ভুগতে রাজি নন টাইগাররা। তার মতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় তাদের কোনো কৃতিত্ব দেবে না, কিন্তু হেরে গেলে সমালোচনা শুনতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি না। আমরা জিতলে কোনো কৃতিত্ব পাব না, কিন্তু আমরা হেরে গেলে সবাই বলবে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে এবং আমাদের নিয়ে সমালোচনা করা হবে।’ তিনি জানান, দলের মূল লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপ। আমরা যেখানেই খেলি না কেন, আমাদের কাজ হলো নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করা। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে- কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ, আমরা কোন দলের বিপক্ষে খেলছি, কোথায় খেলছি, কী কী বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রের বাইরে আছে। খেলোয়াড় হিসেবে যেখানেই খেলি, আমরা সেরাটা দিয়ে থাকি। এমনকি ডিপিএলেও যখন খেলি, আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপ। আমরা যদি অন্তত ৫ শতাংশও উন্নতি করতে পারি, সেটি আমাদের জন্য অনেক বড় বিষয়। আমাদের ভালো শুরু করতে হবে। বিশ্বকাপে আমরা কীভাবে ভালো খেলতে পারি, সেদিকেই সবার মনোযোগ। এমন লক্ষ্য নিয়েই আমরা কঠোর অনুশীলন করছি।’

এ সিরিজকে যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির প্ল্যাটফরম হিসেবে দেখা হচ্ছে, তখন প্রশ্ন উঠেছে- জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে কীভাবে উপকৃত হবে বাংলাদেশ। এছাড়া আধুনিক যুগের টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় বাংলাদেশের ব্যাটিং দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। এমনকি জিম্বাবুয়ের মতো মাঝারি মানের বোলিংয়ের বিপক্ষেও ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করতে পারেননি তারা। তাসকিন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে কন্ডিশন গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উইকেট এমন নয়, আপনি ক্রিজে গিয়ে প্রথম বল থেকেই বোলারদের ওপর আক্রমণাত্মক খেলবেন। আমাদের উইকেট বেশি স্কোর করার মতো নয়। কিন্তু আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি করার জন্য কঠোর অনুশীলন করছি।’

প্রথম ম্যাচ ৮ উইকেটে এবং দ্বিতীয়টি ৬ উইকেটের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৬৫ রান করে টাইগাররা। জবাবে ৯ উইকেটে ১৫৬ রান করে ৯ রানে ম্যাচ হারে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ৩ ম্যাচে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাসকিন। ৩ ম্যাচে ৬ উইকেট নেন এবং কোনো ম্যাচেই ৪ ওভারে ২১ রানের বেশি দেননি তিনি। তৃতীয় ম্যাচে জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২৩ বারের মোকাবিলায় জয়ের সংখ্যাটা ১৬-তে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের বিপক্ষে মাত্র ৭ ম্যাচে হেরেছেন টাইগাররা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হোয়াইটওয়াশ,টি-টোয়েন্টি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close