চাঁদপুর প্রতিনিধি

  ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বিয়ে না করানোয় মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে 

বাবা-মাকে বারবার বলার পরও বিয়ে না করানোয় ধান কাটার কাস্তে দিয়ে মা রানু বেগমকে (৫৭) গলা কেটে হত্যা করেছে ছেলে মো. রাসেল (২২)। এরপর ঘরে বসেই মোবাইল ফোনে বাবা আতর খাঁনকে মাকে হত্যার কথা জানায় রাসেল। কিছুক্ষণ পরে আতর খাঁন ঘরে ফিরে স্ত্রীর নিথরদেহ খাটে পড়ে থাকতে দেখেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘাতক ছেলে রাসেলের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়। বিকেলে আসামি রাসেলকে ফরিদগঞ্জ থানা-পুলিশ চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করলে তাকে জেলহাজতে নেওয়ার আদেশ দেন বিচারক।


* হত্যার পর ঘরে বসেই বাবাকে ফোনে জানায় ছেলে

* হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে রাসেলকে গ্রেপ্তার, আলামত জব্দ

* উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাবনে বাঁধা হওয়ায় বাবা-মাকে হত্যার হুমকি


এর আগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের খান বাড়িতে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) ছেলেকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন আতর খাঁন।

এর আগে হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাসেলকে পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাসেলের দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাস্তে, রক্তমাখা লুঙ্গি ও শার্ট উদ্ধার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, রাসেল তিন মাস যাবৎ উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা করত। বাবা-মা নিষেধ করলে তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মারধর করে সে। বিষয়টি তার বাবা আতর খাঁন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হোসেন আহমেদ রাজনকে অবগত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা-মাকে হত্যা করবে বলে ভয়-ভীতি দিয়ে আসছিল ছেলে রাসেল। বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে বাবা কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর মাকে ঘরে একা পেয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটায় রাসেল।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলামসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close