কক্সবাজারের রামুতে ডাকাতের গুলিতে আবুল কাশেম ( ৪৮) নামে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোর ৫টার দিকে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কাশেম রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বড়বিল এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, রাতের আঁধারে গরু পাচারের সময় ডাকাতরা কাশেমকে গুলি করে হত্যা করেছেন। প্রথমে ওই স্থানে গরু পাচারকারীরা ডাকাতদের আক্রমণের শিকার হন। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হলে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাশেম ঘটনাস্থলে প্রাণ হারাণ।

চেয়ারম্যান বাবুল আরো জানান, গত কয়েক মাসের ব্যবধানে এ ইউনিয়নে গরু পাচারকে কেন্দ্র করে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে পুরো ইউনিয়নের জনসাধারণ আতঙ্কে রয়েছে। তিনি নিজেও আতঙ্কিত জানিয়ে বলেন, গরু পাচার রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানোর দাবি জানানো হলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। যে কারণে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চুরি, ডাকাতি, হত্যার মতো অপরাধ সংগঠিত করে পার পেয়ে যাচ্ছে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

জানা যায়, গরু পাচারকে কেন্দ্র করে গত চার মাসে রামুতে পৃথক ঘটনায় পাঁচটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরো অনেকে। এদের মধ্যে শুধু গর্জনিয়া ইউনিয়নেই হত্যার শিকার হয়েছেন চারজন। ১৮ দিন আগে (২১ এপ্রিল) গরু পাচারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের গুলি ও সংঘর্ষে বাবা-ছেলে প্রাণ হারান বলেও জানা যায়।

পিডিএস/আরডি