ইবি প্রতিনিধি

  ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষক হয়রানির অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেনের সামনেই তার পরিবারকে হয়রানি ও অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগ উঠেছে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম আবদুস সালাম ওরফে সেলিম। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, প্রক্টর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের কাছেও অভিযোগের অনুলিপি পাঠিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এইম আলী হাসান লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অভিযোগপত্রে সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন বলেন, গত ১৪ এপ্রিল দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ছেলে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মোটরবাইকে করে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তার স্বামী। এ সময় মেইনগেট অতিক্রমকালে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুস সালাম (সেলিম) তাদের আপত্তিকর কথাবার্তা বলে চরমভাবে অপমান করেন। স্বামীর সামনে তাকেও অপমানজনক কথাবার্তা বলেছেন বলে অভিযোগে করেন তিনি।

তিনি আরো উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় তিনি একজন শিক্ষক হিসেবে চরমভাবে অপমানিত। সর্বোপরি ঘটনাস্থলে শিক্ষিকার ছেলে তার বাবার সঙ্গে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক গ্র্যাজুয়েট হিসেবে মেইন গেটে এমন হয়রানি ও অপমানজনক আচরণে তিনি (স্বামী) মানসিকভাবে ভীষণ আঘাত পেয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিলেও সন্তোষজনক কোনো সমাধান পাননি বলে দাবি করেন তিনি। বাধ্য হয়ে অভিযোগ করেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সম্মানার্থে আমি এতদিন ধৈর্য ধরেছিলাম। ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এর একটা বিচার করবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো সম্মানজনক সমাধানের ব্যবস্থা করেনি। এটা শিক্ষক সমাজের জন্য অপমান ও ন্যক্কারজনক ঘটনা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা সেলিম বলেন, তার স্বামীর সঙ্গে আমি কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি। ঈদের পরদিন বহিরাগতদের চাপে মেইনগেটে অনেক ভিড় ছিল। তাই আমরা যথাযথ মেইন গেটটি বন্ধ করে রেখেছিলাম। ম্যামের স্বামী বাইক নিয়ে ঢোকা বা বের হওয়ার সময় হর্ন বাজিয়ে মেইন গেটে উপস্থিত দারোয়ানদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে মেইন গেট খুলে দিতে বলেন। অথচ তখন ছোট গেট দিয়ে তিনি বাইক নিয়ে যেতে পারতেন। আমার বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগটি উঠেছে আমি চাই এর সঠিক তদন্ত করা হোক।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব করে যাচ্ছি। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসান বলেন, অভিযোগপত্রটি গতকাল (বৃহস্পতিবার) হাতে পেয়েছি। ঘটনাও যেহেতু শিক্ষকের তাই বিষয়টি খুব সেনসিটিভ। অভিযোগটি শিগগিরই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনিই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close