প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ মে, ২০২৪

রাফাহ ক্রসিং ইসরায়েলি সেনাদের দখলে

গাজায় ৭ মাসে নিহত ৩৪৭৮৯ ফিলিস্তিনি

মিসরীয় সীমান্তে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে এখন পুরো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। গতকাল মঙ্গলবার ৭ মাস পূর্ণ হয়েছে গাজা যুদ্ধের। এ ৭ মাসে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৪ হাজার ৭৮৯ জন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

ফিলিস্তিনের ১৫ লাখ উদ্বাস্তুর শহর রাফাহয় পূর্বপরিকল্পিত সামরিক অভিযানে প্রস্তুত ইসরায়েল। আর তার অংশ হিসেবেই রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দখলে নিয়েছে তারা। রাফাহ ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও সেনাদের উপস্থিতির কারণে ফিলিস্তিনিরা এবার পুরোই অবরুদ্ধ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, রাফাহ ক্রসিংয়ের গাজার দিকের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ এখন ইসরায়েলি সেনাদের হাতে। কেরেম সালোম সীমান্ত ক্রসিংও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং ইসরায়েলের সঙ্গে। একটিমাত্র ক্রসিং রাফাহ মিসরের সঙ্গে। আর এটিকে গাজার লাইফলাইন হিসেবে দেখা হয়। এ সীমান্তপথ দিয়েই গাজার অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছিল জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা। গাজার রাফাহ ক্রসিং ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ দাবির খবরে উদ্বেগ জানিয়েছে ফিলিস্তিনে শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থাটির আশঙ্কা, এতে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সাহায্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।

ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র লুইস ওয়াটারিজ বলেন, ‘পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এখন আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে সীমান্ত অতিক্রম করা এবং গাজায় পর্যাপ্ত সাহায্য পৌঁছে দেওয়া।’ এমন পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবে হামাস রাজি থাকলেও তা বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এ ৭ মাসে গাজায় ৩৪ হাজার ৭৮৯ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৭৮ হাজার ২০৪ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আরো ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত নিখোঁজ হিসাব করা এসব হতভাগ্য ফিলিস্তিনির লাশ ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। তাদের লাশ উদ্ধার করার মতো সুযোগ ঘটেনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close