ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৯ এপ্রিল, ২০২৪

রিয়ালের বাধা সিটির রড্রি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ যদি ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে সত্যিকারার্থেই প্রতিশোধ নিতে চায় তবে তাদের ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে রড্রির দুর্দান্ত ৬৪ ম্যাচের অপরাজিত থাকার রেকর্ডকে ভাঙতে হবে। ২৭ বছর বয়সি রড্রি সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো ২০২৪ বাছাই পর্বে স্পেনের হয়ে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন। এরপর তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোল করে সিটিকে শিরোপা উপহার দিয়েছেন। সিটিকে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের শিরোপা জয়ে সহযোগিতা করেছে। একইসঙ্গে স্পেনের নেশন্স লিগের শিরোপা জয়ে অবদান রেখেছেন।

সিটি বস পেপ গার্দিওলা নিয়মিতভাবেই রড্রিকে বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে প্রশংসা করে থাকেন। সিটিতে বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় থাকা সত্তেও গার্দিওলার জন্য রড্রি যেন অপরিহার্য অংশে পরিনত হয়েছেন। দীর্ঘ ইনজুরির কারণে এবারের মৌসুমে প্রায় বেশিরভাগ ম্যাচে সিটিজেনরা আর্লিং হালান্ড ও কেভিন ডি ব্রুইনাকে দলে পায়নি। এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সিটির চারটি পরাজয়ের ম্যাচেই নিষেধাজ্ঞার কারনে রড্রি অনুপস্থিত ছিলেন। একইভাবে এক বছর আগে হ্যাম্পডেন পার্কে স্কটিশদের কাছে হারের পর গত মাসে প্রীতি ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে স্পেনের একমাত্র পরাজয়ের ম্যাচটিতে পুরো ৯০ মিনিট রড্রি বদলি বেঞ্চে ছিলেন। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুই সপ্তাহ আগে স্পেন বনাম ব্রাজিলের মধ্যকার ৩-৩ গোলের ড্রয়ের প্রীতি ম্যাচটিতে রড্রি জোড়া গোল করেছেন।

গত সপ্তাহে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মৌসুমের অষ্টম গোল করার পর গার্দিওলা বলেন, ‘রড্রিই সেরা। তার পজিশনে সেই সেরা, যে কারণে আমার কাছে মনে হয় আমার দলে সবকিছু আছে। যেভাবে রড্রি ম্যাচের আবহ বুঝতে পারে তাতে মনে হয় সবসময় সে প্রস্তুত থাকে। অনেক দিক থেকেই সে সেরা। উপস্থিতি শারীরিক সক্ষমতা, সব মিলিয়ে একজন পরিপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে রড্রি মাঠে নামে।’ গত গ্রীষ্মে জুড বেলিংহামকে দলে ভেড়ানোটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য অনেক বড় একটি সফলতা ছিল। আর্থিকভাবে লাভবান প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবই তাদের ঘরের ছেলেকে ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু সিটি বিশ্বাস করে মাদ্রিদে জন্ম নেয়া রড্রি প্রায় একইভাবে বেলিংহামের মতোই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে চলেছে। ভিয়ারিয়াল থেকে মাত্র এক মৌসুম অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে কাটানোর পর ২০১৯ সালে ৬২ মিনিয়র ইউরোয় রড্রিকে

দলে ভেড়ায় সিটি।

বেলিংহাম ও রড্রির মধ্যে হেড-টু-হেড লড়াইয়ে কে জিতবে তা সময়ই বলে দিবে। কিন্তু এ দুজনই যে তাদের নিজ নিজ দলের লম্বা রেসের ঘোড়া তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গত তিন মৌসুমে স্প্যানিশ ও ইংলিশ জায়ান্টের মধ্যে এটি তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দুই বছর আগে বার্নাব্যুতে সিটি ২ গোলে এগিয়ে থাকলেও স্টপেজ টাইমের গোলে ফিরে এসে রিয়াল ১৪তম ইউরোপিয়ান কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল। এক বছর পর আরো এক সেমিফাইনালে গার্দিওলার দল মাদ্রিদকে তাদের ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে মধুর প্রতিশোধ নেয়। রড্রি বিশ্বাস করে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে স্বাগতিক সমর্থকদের সুবিধা তারা পুরোপুরি আদায় করে নিতে পারবেন। ২০১৮ সালের পর নিজেদেও মাঠে সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অপরাজিত রয়েছে। এ সম্পর্কে রড্রি বলেন, ‘আমরা একে অপরকে খুব ভালভাবে চিনি। গত বছরের মধুর অভিজ্ঞতা আমরা এবার কাজে লাগাতে চাই। আমরা জানি রিয়ালের বাধা পেরোনো সত্যিই দারুণ কঠিন।­

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close