নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ মার্চ, ২০২৪

এবার ট্রেনে নিরাপদ ঈদযাত্রা নিয়ে শঙ্কা

ঈদ এলেই ঢল নামে রেলে। ট্রেনের উপচেপড়া ভিড় আর প্ল্যাটফরমের তাড়াহুড়া জানান দেয় ঈদযাত্রার। আগামীকাল রবিবার থেকে শুরু হবে আগাম টিকিট বিক্রি। চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। আর ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে ৩ এপ্রিল থেকে। তবে গত সপ্তাহে পরপর দুদিন লাইনচ্যুত হয় ট্রেন। ঈদের আগে এমন ঘটনায় এবার ঈদযাত্রা কতটা নিরাপদ হবে, তা নিয়ে শঙ্কা জেগেছে যাত্রীদের মধ্যে। রেলওয়ের দাবি, নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় সব প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। রেলমন্ত্রী বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয়ভাবে তদারকি করা হচ্ছে।

এবার ট্রেনে প্রথম ঈদযাত্রা করবে পদ্মাপাড়ের মানুষ। কক্সবাজারের যাত্রীদেরও প্রথমবার ট্রেনে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ থাকছে। এ নিয়ে গত এক বছরে নতুন পথে যুক্ত হয়েছে চার জোড়া নতুন ট্রেন। তবে ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তায় কী যুক্ত হচ্ছে এবার? নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় কতটা প্রস্তুত রেল? ১৮ মার্চ টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে লাইনচ্যুত হয় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি। তাতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারা দেশের রেল চলাচল বন্ধ থাকে প্রায় ৫ ঘণ্টা। সময়সূচিতে বিপর্যয় হয় ২৯টি ট্রেনের। তার এক দিন আগে কুমিল্লায় রেললাইন বেঁকে লাইনচ্যুত হয় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি। আহত হয় ১০ যাত্রী। বন্ধ হয় চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ। সাম্প্রতিক সময়ে এসব দুর্ঘটনার কারণে ঈদযাত্রায় ট্রেন ভ্রমণে শঙ্কা জাগাচ্ছে। যাত্রীদের চাওয়া, ঈদের আগেই সংস্কার করা হোক পুরোনো রেললাইন।

এক যাত্রী বলেন, ঈদের সময় মানুষের ভিড় অনেক বেশি থাকে। তখন যদি এমন কোনো কিছু ঘটে অবশ্যই সেটি শঙ্কার একটি বিষয়। বারবার ট্রায়াল দেওয়া দরকার। রেললাইন চেক করা দরকার। তবে রেলওয়ে বলছে, দুর্ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত তারা। তারপরও জরুরি সময়ে

দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে রিলিফ ট্রেন। কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঢাকা, আখাউড়া, চট্টগ্রাম ও সিলেটে আমাদের রিলিফ ট্রেন রাখা আছে। এগুলোয় সবসময় ইঞ্জিন লাগানো থাকে। যেন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ে পৌঁছতে পারে।

মনিটরিংয়ের ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘পুরো রেলপথ মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। তবে তার আগে প্রয়োজন রেলের সম্পদ রক্ষায় জনসাধারণের সদিচ্ছা। আমাদের ক্যামেরার ব্যবস্থা আছে। এখন সেটার কন্ট্রোল স্টেশনে না রেখে আমরা সেন্ট্রালে নিয়ে আসছি। রেললাইন যেসব ইউনিয়ন দিয়ে গেছে, সেসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরও আমরা সম্পৃক্ত করেছি। সরকারি এজেন্সিগুলোও সম্পৃক্ত করেছি। আমাদের মধ্যে বোধ সৃষ্টি হলে এগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তখনই সম্পূর্ণ নিরাপদ হওয়া সম্ভব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close