তাপপ্রবাহের মধ্যেই ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে শোভাযাত্রা করে মানিকগঞ্জে পালন করা হলো কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪। গতকাল রবিবার সকাল ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজের মাঠে বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। আধঘণ্টা পরে সকাল সাড়ে ৮টায় শোভাযাত্রা বের হয়ে পৌনে ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যায়। সেখানে ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) শুক্লা সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শোভাযাত্রার উদ্বাধন করেন। এদিকে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামানোর ঘটনায় কঠোর সমালোচনা করছেন সচেতন নাগরিকরা। মানিকগঞ্জ সরকারি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, শিবালয় সরকারি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কোকন চন্দ্র দেব, ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফারুক হোসেন, দেওয়ান টেকিনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক দেওয়ান তালজিল আহমেদসহ অনেকে। শোভাযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আবারও মানিকগঞ্জ সরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজে ফিরে যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ সরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের মতো মানিকগঞ্জেও শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে তিনটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী-শিক্ষক অংশ নেন।

মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এর আগে ২৩ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভা হয়। গরম বিবেচনায় সকাল সাড়ে ৮টায় শোভাযাত্রা বের করা হয়েছিল এবং রোদের তীব্রতা বাড়ার আগেই কর্মসূচি শেষ করা হয়েছে। শোভাযাত্রা শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের আধা লিটারের পানির বোতল ও দুই স্লাইচ কেক খেতে দেওয়া হয়।

মানিকগঞ্জ জেলা শহরের খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, রোদণ্ডগরমের কথা মাথায় রেখে এই দিবসটা কি শুধু আলোচনা সভাতেই শেষ করা যেত না? অবশ্যই যেত কিন্তু কর্তারা তা বিবেচনাতেই নেননি।

নান্নু বলেন, চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে সরকার যেখানে অ্যাসেম্বলি ও পতাকা উত্তোলন বন্ধ রেখেছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে র‌্যালি করা ঠিক হয়নি। শুধু আলোচনা সভা করেই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ পালন করা যেত।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) শুক্লা সরকার বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শোভাযাত্রাটি রোদের তীব্রতা বাড়ার আগেই শেষ করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিশু শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেনি। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। ওরা তো বড় হয়ে গেছে, আর এটা তো শিক্ষারই অংশ। এর থেকেও তো শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহণ করবে। সারা দেশেই হচ্ছে। ওদের জন্য জব ফেয়ারও করা হচ্ছে।

"