মো.রকিবুল হাসান বিশ্বাস, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)

  ০৯ মে, ২০২৪

বিড়ালের খাওয়া খাবার খাওয়ান হাজী নূর হোটেল

ছবি : সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সিংগাইর বাসস্ট্যান্ড যাত্রী ছাওনি সংলগ্ন হাজী নূর হোটেলে বিড়ালের খাওয়া খাবার খাওয়ান ক্রেতাদের এমন অভিযোগ ওঠেছে।

উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার থেকে বার বার বিভিন্নভাবে সতর্ক করার পরও কোনো কিছু তোয়াক্কা করছেন না হোটেল মালিক নাছিরউদ্দিন।

নোংরা,বাসি, নষ্ট, পঁচা, বিড়ালের খাওয়া খাবার পরিবেশন করা যেন তাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ ।

সূত্রে জানা যায়, সিংগাইর বাসস্টান্ডে অবস্থিত বহুল আলোচিত নাসির উদ্দিনের মালিকানাধীন হাজী নূর হোটেলে বুধবার (৮ মে) সিংগাইর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন পরিদর্শন শেষে সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ খাবার খাওয়ার জন্য যায়। এর মধ্যে কয়েকজন সরকারী অফিসার বিকেল আনুমানিক ৩ টার দিকে খাবারের জন্য হাজী নুর হোটেলে প্রবেশ করার সাথে সাথে বিড়াল খাবারের উপরে বসে খাবার খাচ্ছে দেখেন তারা। পরে বিষয়টি সাথে সাথে হোটেল মালিক নাসিরকে অবগত করলে সে ওই অফিসারের সাথেও অসাদাচরণ করেন।

এ হোটেলের আরো অভিযোগ আছে ১২ দিন পূর্বে রান্না করা খাবার পরিবেশন করার। এছাড়া অপরিচিত নতুন কাস্টমার পেলে তাদের সাথে মিষ্টি কথা বলে খাবার খাইয়ে পরে গলাকাটা বিল রাখা যেন রীতিমত তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া বাসি,পচা, নষ্ট খাবার বিক্রি করে বেশ দাপটের সাথে চলছে হাজী নূর হোটেলের রমরমা ব্যবসা।

একাধিকবার এই হোটেল মালিককে ভোক্তাঅধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জরিমানা করলেও তিনি এসবের কোনো তোয়াক্কাই করেননা। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে হাজ্বী নূর হোটেল মালিক নাসির উদ্দীন বলেন, স্যাররা আইসা জরিমানা কইরাই চইলা যায়, আমি আমার মত আমার ব্যবসা কইরা যাইতাছি। আমি কারো ভয় পাইনা।

তিনি আরো বলেন, বিড়ালে খাইছে সমস্যা নাই, প্রতিদিনই এরকম খায়। বিড়াল খাইছে তাই আমার এতো খাবার কি ফালাইয়া দিমু নাকি। সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু বলেন, নিরাপদ খাদ্য ব্যবহারের জন্য আমরা সব সময় নজরদারিতে রাখি। এবিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হাজী নূর হোটেল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close