নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ জুন, ২০২২

ফের বাড়ছে সংক্রমণ

একজনের মৃত্যু

দেশে বেশ কয়েক মাস স্তিমিত ছিল করোনা পরিস্থিতি। হাতেগোনা কয়েকজন আক্রান্ত হলেও তা উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে আবার অল্প অল্প করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত) করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৭৪ জন। এতে ১৭ ফেব্রুয়ারির পর আবার দৈনিক শনাক্তের হার ১১ শতাংশ ছাড়াল। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত মারা গেল ২৯ হাজার ১৩৩ জন। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা-বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪ জন। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। আগের দিন শনাক্ত হয় ৮৭৩ জন। শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এরও আগের দিন ভাইরাস ধরা পড়ে ৫৯৬ জনের শরীনে; যা ছিল ১৫ সপ্তাহে সর্বোচ্চ। এর আগে সবশেষ ৪ মার্চ এক দিনে ৬০৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। যা আগের দিন ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এভাবে প্রতিদিনিই বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তিও হচ্ছে অনেকেই। কিন্তু এভাবে ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ কী- এ বিষয়ে সরকারি সংস্থা আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এ বছরের শুরুর দিকে করোনার দাপট কমায় অনেকেই ভেবেছিলেন, করোনা বুঝি বিদায় নিল। সেই ভাবনাকে মাথায় রেখেই মাস্ক পরার অভ্যাস ত্যাগ করার প্রবণতা তৈরি হয় অনেকের মধ্যেই। রাস্তাঘাটে, গণপরিবহনগুলোতে একটা বড় অংশের মানুষকে মাস্কহীন অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এখনো। অসচেতনতাই নতুন করে করোনা সংক্রমণের একটা বড় কারণ।

ডা. মুশতাক হোসেন আরো বলেন, করোনা সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় শিকেয় উঠেছিল করোনাবিধি। ফলে উৎসব, অনুষ্ঠানে একসঙ্গে অনেক মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। গণপরিবহনেও মানা হয়নি কোনো শারীরিক দূরত্ব। যার ফলস্বরূপ ফের দেশজুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণ নিম্নগামী হতেই বারবার স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশের ব্যবহারও কমেছে। বাইরে থেকে ফিরে হাত-পা ধোয়া, সাবানজলে পোশাক কেচে নেওয়ার মতো সুরক্ষাবিধিও মানা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। করোনা সংক্রমণ বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে এই কারণটিও। তাই এখন স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি টিকা নিতে হবে। কারণ করোনার সঙ্গে লড়াই করার অন্যতম অস্ত্র টিকাকরণ। টিকা নিয়ে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সবার টিকা এবং বুস্টার নেওয়া উচিত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close