রায়হান আবিদ, বাকৃবি

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

নুবাহর গানে মেতেছে ক্যাম্পাস

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনা আর ব্যবহারিক খাতা লিখতে লিখতে যখন একঘেয়েমি এসে যায়, তখনই বিনোদনের মাধ্যম খুঁজে শিক্ষার্থীরা। সেই বিনোদন দিতে ক্যাম্পাসে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় নানা আয়োজন। সংগীতপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকে গানের আয়োজন। গানে সুরে সুরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলাদা করে নিজেদের জায়গা করে নেন সংগীতশিল্পীরা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) তেমনি এক কণ্ঠশিল্পী নুবাহ নাশিতা ফারিহাত। যার গানের সুরে ক্যাম্পাস মাতিয়ে রেখেছে।

ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় দিবস, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চা উৎসব, বসন্তবরণ, বিভিন্ন ফেস্টিভ্যাল থেকে শুরু করে সব জায়গায় তাকে গাইতে দেখা যায়। তার গানের ভক্ত রয়েছে ক্যাম্পাস জুড়ে।

তার জীবনে গানের শুরুটা নিয়ে জানান, শুরুটা ছয় বছর বয়সে। একটু দুষ্টু ছিলাম বিধায় প্রথমে বাসায় গান খুব একটা শিখতে চাইতাম না। ক্যাম্পাসে বাসা হওয়ায় পরে টিএসসিভুক্ত সংগঠন সংগীত সংঘে ভর্তি করিয়ে দেন মা। গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি সবকিছুতেই মা-বাবা দুজনই খুব উৎসাহ দিতেন। বলা যায়, তখন থেকে একটু সিরিয়াসলি শুরু করি। গান শেখার জন্য সংগীত সংঘ অনেক বড় অবদান রেখেছে। পরে যুক্ত হয়েছিলাম সুরতীর্থের সঙ্গে। সেখানে গান চর্চা করেছি প্রায় ৩ বছর। স্কুল, কলেজে যখনই সুযোগ পেয়েছি চেষ্টা করেছি গান গাওয়ার। শুরুতে মঞ্চে গাইতে ভয় করলেও পরে গান না গাইলে যেন ভালো লাগত না। তবে একদম সঠিক করে মনে নেই কতগুলো প্রোগ্রামে গাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে গান গাইতে অনেকবার মঞ্চে উঠেছি। ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের ন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল, বাকৃবিতে উদযাপিত জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানগুলোতে, বিভিন্ন পিকনিক/আউটডোর প্রোগ্রামে, বসন্তবরণে, চা উৎসবে গান গেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে বেশ কিছু ইভেন্টে পারফর্ম করি।

পছন্দের সংগীত নিয়ে নুবাহ আরো বলেন, সবচেয়ে ভালো লাগে নজরুলসংগীত আর এরপর রবীন্দ্রসংগীত। ব্যান্ডের গানগুলোও কমবেশি ভালো লাগে। তবে আমি মূলত পারফর্ম করে থাকি আধুনিক সংগীত। কলেজে সবচেয়ে বেশি পারফর্ম করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি শখের গান চর্চা করাটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তবে গান গাওয়াটা নিজের জন্যে। নিজেকে প্রশান্তি দেওয়ার জন্য।

নুবাহকে নিয়ে তার বন্ধুরা জানান, নুবাহ গান গাইবে শুনলেই ছুটে চলে যাই অনুষ্ঠানে। নুবার গানের চঞ্চলতা, সুরের তালে হারিয়ে যাই এক ভিন্ন জগতে। আড্ডার ছলে প্রায়ই নুবাকে দিয়ে আমরা গান গাওয়াই। ওর গান শুনতে শুনতে ভুলে যাই ক্লাস-পরীক্ষার যত চিন্তা। সব কঠিন বাস্তবতা ভুলে থাকা যায় গানের সুরে।

ভবিষ্যতে সংগীতের পরিকল্পনা নিয়ে নুবাহ বলেন, সংগীত আমার কাছে জীবন। সাধনার মাধ্যমে অর্জন আর সাধনা দিয়েই আলাদা একটা ভাষা আবিষ্কার করা যায়। গান শেখানো শুনলে এখনো দাদাদের কথা মনে পড়ে যারা আমাকে শিখিয়েছিলেন আর তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাবোধ আসে। তবে গান শেখানোর মতো সাহসটুকু হয়তো এখনো আমার হয়নি। তবে কেউ এ বিষয়ে পরামর্শ চাইলে অবশ্যই দেব। কিন্তু সত্যি বলতে আমি গাইতেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close