মঞ্জুরুল হক, জামালপুর

  ০২ মে, ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন 

জামালপুর সদর প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুর, আহত পাঁচ কর্মী

জামালপুর সদরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চারটি এলাকায় কাপ-পিরিচ প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারকেন্দ্রে ভাঙচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলা হয় ।ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

জামালপুর সদরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চারটি এলাকায় কাপ-পিরিচ প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারকেন্দ্রে ভাঙচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পাঁচজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে।

হামলার ঘটনায় কাপ-পিরিচ প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান স্বপনের পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজন কুমার চন্দের কর্মী-সমর্থকদের জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজন কুমার।

বুধবার (১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের হবদেশ আদমের মোড়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া একইদিন উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের রামনগর, শ্রীপুর ইউনিয়নের কুমারিয়া ও ভাইটকামারি এলাকায় নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুর, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলা করা হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তিরা বলেন, বুধবার রাতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান স্বপনের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে বসেছিলেন। এ সময় প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থক ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মালেক (৫০), ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির (৪০), মো. আনোয়ার হোসেন (৩০), আব্দুল আজিজ (৫০) ও হাবেল আলী (৪৫) আহত হন। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এছাড়া রশিদপুর ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় কাপ-পিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুর, শ্রীপুর ইউনিয়নের কুমারিয়া এলাকার কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থক গোলাম রব্বানীকে মারধর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। তা একই ইউনিয়নের ভাইটকামারী মাটিখোলা এলাকায় কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থক ফজর আলীর বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা এর সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিপক্ষে দাবি। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


  • কাপ-পিরিচ প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান স্বপনের পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ
  • প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজন কুমার চন্দের কর্মী-সমর্থকদের জড়িত বলে দাবি

হামলায় আহত হুয়ামুন কবির বলেন, ‘বুধবার রাতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে বসেছিলাম। এ সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। এসে গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা দৌড়ে পালিয়ে গেলে তারা আমাদের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র, আসবাবপত্র, টিভি ও শব্দযন্ত্র ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি দেয়।’

চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হাফিজুর রহমান স্বপন বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার দুইটি প্রচার কেন্দ্র, সমর্থকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলা করে ভাংচুর করেছে তারা (মোটরসাইসাইকেল প্রতীকের লোকজন)। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মাঠ থেকে উঠিয়ে দিতে ও আধিপত্য বিস্তার করে জয় লাভ করতে চায় তারা।’ তিনি এ হামলার ঘটনার নিন্দা ও জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দ বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কাপ-পিরিচের কর্মী-সমর্থকরা রাতে একটি গোলাযোগ তৈরি করে আমার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাঁড় করিয়েছে।’

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জামালপুর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close