reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

২০২৪ সাজুক পরিপূর্ণতায়

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে লালন করে ঢাকার অদূরে সাভারে ১৯৯৮ ডা. জাফরুল্লাহর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় গণ বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রামীণ পরিবেশে, পাখির কলকাকলি ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পদধূলিতে মুখরিত থাকে এই ক্যাম্পাস। বিজয় মাসের শেষ লগ্নে ও নতুন বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু হয় নতুন একটি বছর। নানা ধরনের সংকট ও সমাধানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত লাভ করছে। নতুন বছরে, নতুন আঙ্গিকে গণ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন মো. আনসারুজ্জামান সিয়াম

গবেষণামূলক শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার হোক

নতুন বছরের নতুন সূর্য বয়ে আনুক আনন্দ, সবুজে ঘেরা এই ক্যাম্পাস হয়ে উঠুক প্রাণবন্ত। পড়াশোনা, খেলাধুলা এবং ক্যারিকুলাম অ্যাকটিভিটিস চর্চার পাশাপাশি গবেষণামূলক শিক্ষাকার্যক্রম অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুন বছরে গবেষণামূলক শিক্ষাকার্যক্রম জোরদার হবে সেই আশা ব্যক্ত করছি। ব্যক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংবাদিকতা, সংগীতচর্চায় সম্পৃক্ত থাকা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা, শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাসহ সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে আলোকিত হোক ৩২ একরের বিদ্যাপীঠ।

আরিফুল ইসলাম বুলবুল

তৃতীয় বর্ষ, মেডিকেল ফিজিকস অ্যান্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিয়ারিং

আবাসিক হলের ব্যবস্থা প্রয়োজন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জাতি গঠন, নিম্ন আয়ের মানুষের উন্নতি ও নারী সমাজকে যথাযথ মূল্যায়নের লক্ষ্যে মনোরম পরিবেশে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাক্রম পরিচালনা করে গণ বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজে ঘেরা ৩২ একরের ক্যাম্পাসে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত অথবা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। সুবিশাল স্থায়ী ক্যাম্পাসে পড়ার সুবাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মজাটা অনুভব করতে পারি। তবে আমরা আবাসিক হলের অভাব প্রায়ই অনুভব করি। আবাসিক হলের ব্যবস্থা না থাকায় ভাড়া বাসায় থেকে আমাদের শিক্ষাজীবন অতিক্রম করতে হয়। ফলে আমাদের আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে হয় এবং নিরাপত্তার শঙ্কা থাকে। পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালোবাসা ও বন্ধনের অভাবটা বড্ড বেশিই অনুভব করি। সুতরাং মনে করি, আবাসিক হল প্রতিষ্ঠিত হলে সব শিক্ষার্থীর লালিত স্বপ্ন পূরণ হবে।

সেলিনা আক্তার

দ্বিতীয় বর্ষ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস

দেশের প্রথম সারির বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে উঠুক

শিক্ষা, গবেষণা এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমে এবং স্বকীয়তা বজায় রেখে অনন্য হয়ে উঠুক আমাদের প্রাণের গণ বিশ্ববিদ্যালয়। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও সব ধরনের শিক্ষাকার্যক্রম চলমান রয়েছে শিক্ষার্থীবান্ধব এই প্রতিষ্ঠানটি। করোনা-পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। নানা সংকটের পরও অসংখ্য সুনাম অর্জন করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ব্যতিক্রমধর্মী এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। সব সংকট কাটিয়ে দেশের প্রথম সারির সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত হোক এই ক্যাম্পাস।

মোহাম্মদ ইফতেখার

তৃতীয় বর্ষ, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি

সংকট কাটিয়ে উন্মোচিত হোক নতুন দিগন্ত

বংশী নদীর তীরে স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে লালন করে এগিয়ে যাচ্ছে ৩২ একরের এই সৃষ্টিশীল বিদ্যা নিকেতন। বৈষম্যমুক্ত এই বিদ্যাপীঠে নারী-পুরুষের পাশাপাশি চাকরি করেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, যেন প্রতিটি পদে চ্যালেঞ্জ নিতেই ভালোবাসে এই পরিবার। পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, ল্যাব, শিক্ষক, পরিবহন সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রযুক্তিনির্ভর এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরদারি আরেকটু বাড়ানো উচিত। দ্রুত এসব সংকট কাটিয়ে শিক্ষা ও গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করে গণ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন বছরে উন্মোচিত হোক নতুন দিগন্তে।

ইসরাত জাহান আনিকা

দ্বিতীয় বর্ষ, ফার্মেসি বিভাগ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close