বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ০২ মে, ২০২৪

বিরামপুরে অভিযোগ

দলীয় বিভেদের জেরে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও পিটিয়ে দুজনকে আহত 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ পিটিয়ে ২ জনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (১ মে) রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলার কেটরা বাজারের বঙ্গবন্ধু মোড়ের ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভেজ কবীর এর অফিসে এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ মে) বিরামপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের সাগাইহাটা গ্রামের নুরল ইসলামের ছেলে ইউপি সদস্য নুরন্নবী মন্ডল(৪৬) ও মৃত নিয়ামত আলী চৌধুরীর ছেলে নজির হোসেন চৌধুরী(৫২)। আহত নুরন্নবী মন্ডল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরে গেলেও নজির উদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত একই ইউনিয়নের সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শাহজাহান আলী ও তার লোকজন।

ভূক্তভোগী নজির হোসেন চৌধুরী জানান, বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে জোতবানি ইউনিয়নের সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শাহাজান আলী ও তার দলবল ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভেজ কবীর এর অফিসে ভাঙচুর করতে থাকে। এ সময় ইউপি সদস্য নুরন্নবীসহ তিনি তাদেরকে নিষেধ করলে তারা তাদেরকে লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাতারি মারধর করে। এতে ইউপি সদস্য নুরন্নবী ও তাকে আহত করে। পরে তাদের ডাক-চিৎকারে বাজারের লোকজন এগিয়ে এলে তারা তাদের আপত্তিকর ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। ইউপি সদস্য নুরন্নবী জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শাহাজান আলী ও তার লোকজন আনারস প্রতীকের সমর্থিত ব্যক্তি হিসেবে তাদের ঘোড়া প্রতীকের প্রচারে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল।

ঘোড়া মার্কার প্রার্থী পারভেজ কবীর জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে অত্র নির্বাচনী এলাকায় তিনি ও তার সমর্থকরা পছন্দের ডামি প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ড. আজিজুল হকের পক্ষে কাজ করায় তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বিভেদ বৃদ্ধি পায়। এরই প্রভাবে তার সমর্থিত লোকজনের ওপর বিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালায়। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান তিনি এবং একই সঙ্গে তার সমর্থকদের ধৈর্য্যসহ নির্বাচনকে সফল করার আহ্বানও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউনিয়নের সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শাহজাহান আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

আনারস প্রতীকের প্রার্থী মতিউর রহমানকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি।

এছাড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দিনাজপুর,বিরামপুর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close