নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
নোবিপ্রবিতে বর্ষবরণ
নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি
-নোবিপ্রবি উপাচার্য
দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ণিল আয়োজনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন করা হয়েছে। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে এদিন ১৪ এপ্রিল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, চিত্র প্রদর্শনী, বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সকাল ৯টায় দিনের প্রথমভাগে নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি অ্যাসোসিয়েশন চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সকালে এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান। পরে ‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ, তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ গানকে প্রতিপাদ্য করে নোবিপ্রবি পরিবার সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এসে শেষ হয়। প্রসঙ্গত, জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখেই এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন করা হয়। শোভাযাত্রার সমাপ্তি শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান ফিতা কেটে খেলার মাঠে আয়োজিত বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সেখানে উপাচার্য উদ্বোধনী বক্তৃতা রাখেন। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি সবার জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সম্মৃদ্ধি কামনা করেন। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নোবিপ্রবির পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো থেকেও সাধারণ মানুষ আসে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে উপাচার্য মেলা প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। পরে দিনব্যাপী আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। স্টলগুলোয় বাঙালির চিরাচরিত পান্তা-ইলিশ, নানা ধরনের ভর্তা ও পিঠা, বিভিন্ন টক, ঝাল, মিষ্টিজাতীয় খাবার স্থান পায়।
"