ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ চতুর্থ সমাবর্তন
বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন আজ রোববার। এ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) নতুন সাজে সেজেছে। প্রধান ফটক, বিভিন্ন স্থাপনা এবং নানা চত্বর আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। রাতের আবছায়া অন্ধকার ও আলোকসজ্জা মিলে ক্যাম্পাস যেন নৈসর্গিক রূপ ধারণ করেছে।
সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তার পাশের ঝাউগাছ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগগুলোকে শিক্ষার্থীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে আল্পনা ও রংতুলির আঁচড়ে নানাভঙ্গিতে সাজিয়েছেন। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে দুটি দৃষ্টিনান্দনিক গেট সৌন্দর্য বহু গুণে বৃদ্ধি করেছে, যা শত শত শিক্ষার্থীর নজর কেড়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল খেলার মাঠে প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা, ডিবি, এসএসএফসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় উচ্চতর ক্ষমতাসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুঠোফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ভাস্কর্য মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব, সততা ফোয়ারা, শেখ রাসেল হল, শেখ হাসিনা হল উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর হাতের বাম দিকে শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের মাঝ বরাবর প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টি-নান্দনিক ‘সততা ফোয়ারা’। ২০ ফিট ডায়ের ওপর থেকে ফোয়ারাটিতে তিন স্তরে ১১০টি নজেল দিয়ে পানি ওঠানামা করছে। এর চারপাশে চলাচলের জন্য ১০ ফিট রাস্তা রয়েছে। এ ছাড়া ফ্রেন্ডশিপ চত্বরের পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে চির স্বরণীয় করে রাখতে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হচ্ছে ৩১ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ নামে স্মৃতি ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি নকশা করেছেন ইবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে শেখ রাসেল হলের প্রথম ফেজ। পাঁচতলা ভবনের হলটির প্রথম ফেজে ২৫০ আসন রয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে শেখ হাসিনা হলের দ্বিতীয় ফেজ। পাঁচতলা ভবনের হলটিতে ২৫০ আসন রয়েছে। ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল
হল এবং আট কোটি টাকা ব্যয়ে
শেখ হাসিনা হলের দ্বিতীয় ফেজ নির্মাণ করা হয়েছে। আবাসিক হল দুটির কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
"