কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান ভালো না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নোংরা থালা-বাটিতে খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া বাসি-পচা ও আগের দিন রান্না করা খাবার পরদিন শিক্ষার্থীদের খাওয়ানো হয়। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। ক্যাফেটেরিয়ায় খেতে আসা একাধিক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্যাফেতে বাসি ও পচা খাবার তাদের পরিবেশন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের খাবার হোটেলগুলোতে দাম বেশি থাকায় ক্যাফেটেরিয়ার দ্বারস্থ হতে হয় তাদের। সমস্যা সমাধান করতে না পারলে দায়িত্ব পরিবর্তনের কথাও বলেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জয় ঘোষ বলেন, ‘ক্যাফের খাবারের পরিবেশ ভালো না। আগের দিন খাবার গরম করে পরদিন বিক্রি করে। অনেক সময় বাসি, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত থাকারও দেওয়া হয়।

ক্যাফেতে খেতে আসা মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সোহেল মিয়া বলেন, ‘একটা পুরোনো কাপড় দিয়ে প্লেট মুছে সবাইকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। আগে মোটামুটি খাবার ভালো ছিল। এখন খাবারটাও স্বাস্থ্যসম্মত না। এই যে পরোটার সঙ্গে ডাল-সবজি খাচ্ছি, এটা ভালো না। বাইরের খাবারের দাম একটু বেশি, তাই বাধ্য হয়ে এগুলো খেতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, থালা-বাসন না ধুয়ে কাপড় দিয়ে মুছে শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। সরাসরি ট্যাংক থেকে পানি ব্যবহার করা হয়, যা বিশুদ্ধ নয়। ক্যাফেটেরিয়াতে থাকা হাত ধোঁয়ার বেসিনের কলও ঠিক নেই। ওয়াশরুমও নোংরা।

হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাহিনুর রহমান নাঈম বলেন, ‘ভার্সিটির ক্যাফেটেরিয়া শুধু মুনাফার জন্য চালানো হয় না। প্রয়োজনে যারা এখন এটা চালাচ্ছে, তাদের পরিবর্তন করে নতুন করে কাউকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হোক।’

এ বিষয়ে ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্বে থাকা মান্নু মিয়া বলেন, ‘প্লেট মোছার কাজে ব্যবহৃত কাপড় প্রতিদিন রাতে সাবান দিয়ে ধোয়া হয়। শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই খাবার তৈরি হয়। তাদের অভিযোগ থাকলে, অবশ্যই সেটা খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘খাবারের মান উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের আদলে ক্যাফেটেরিয়ার সিস্টেম করা হবে। যেখানে খাবারের বিভিন্ন কর্নার থাকবে। উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন স্যারের সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রাথমিক কথা হয়েছে।’

"