কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
অবৈধ বালু উত্তোলন
ফসলি জমির ক্ষতি : বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি
গাজীপুরের কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর দ্বিতীয় অংশে জামালপুর ইউনিয়নের নারগানা এলাকায় বালু লুট করে নেওয়া হচ্ছে। অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সঙ্গে কেটে নেওয়া হচ্ছে নদীর পাড়ের ফসলী জমি। ভুক্তভোগীরা বাধা দিলেই আসে প্রাণনাশের হুমকি। এ ব্যাপারে চলতি মাসের ১৩ তারিখে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির কাছে ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, প্রতিমন্ত্রী কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলম চাঁদকে বিষয়টি জরুরি সমাধানের কথা বললেও এখনো নির্বিচারে বালু এবং নদী পাড়ের ফসলী জমি কেটে নিচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িতরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দক্ষিণ নারগানা এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ‘দিবা-রাত্রী’ নামের ড্রেজার বসিয়ে শ্রমিকরা বালু উত্তোলন করছে। শত ফুট লম্বা পাইপ দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ইতোমধ্যে দক্ষিণ নারগানা গ্রামে শীতলক্ষ্যার ভাঙ্গণে ওই গ্রামের শতাধিক কৃষকের ফসলী জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ফলে তারা এখন নিঃস্ব প্রায়।
স্থানীয়রা জানান, সাইদুল ইসলাম ও মোমেন মিয়া ড্রেজার দিয়ে যেভাবে বালু উত্তোলন করছে তাতে ফসলী জমির পর এবার নদী পাড়ের কল-কারখানা, বাড়িঘর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে চলে যাবে। তারা শুধু নদীর বালুই উত্তোলন করছে না, কাটছে তাদের নদী পাড়ের ফসলী জমিও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জানান, দলের দোহাই দিয়ে নদী দখল করে তারা যেভাবে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে, তাতে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। অথচ বালু উত্তোলন বন্ধে চলতি মাসের ১৩ তারিখে প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে বললেও এখনো তা বন্ধ হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহাগ হোসেন জানান, বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। তাছাড়া এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগও করেনি। তবে শোনার সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে।
"