নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

অসংক্রামক রোগে মৃত্যু বেড়েছে, স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুঝুঁকি বেড়েই চলেছে। গবেষণার তথ্য বলছে, এ ধরনের ব্যাধিতে মারা যাচ্ছেন ৭০ শতাংশ রোগী। কিন্তু অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ কম থাকায় আসন্ন বাজেটে তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন দেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় বাজেট বরাদ্দ : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় গতকাল সোমবার আলোচলকরা এ দাবি জানান। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ার ২৮ সাংবাদিক অংশ নেন। কর্মশালায় তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকলেও তা মোকাবিলায় জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের পরিমাণ খুবই অপর্যাপ্ত। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ, যা মৃত্যুর ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী। তবে এসব রোগ মোকাবিলায় অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ খুবই সামান্য, স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪.২ শতাংশ। কর্মশালায় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. এনামুল হক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের সুপারিশ করে। বাস্তবিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী তা ৭ শতাংশ করার সুপারিশ করা হলেও বিগত বছরগুলোয় স্বাস্থ্য বাজেট ৫ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে। অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় এ খাতে শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না পাশাপাশি বরাদ্দ করা অর্থ খরচের ক্ষেত্রে দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে হবে।

জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থায়নের মাধ্যমে শুধু কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চরক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা গেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ অসংক্রামক রোগ অনেকাংশেই কমিয়ে আনাসহ অসংখ্য জীবন বাঁচানো সম্ভব। কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জুলহাস আলম, আত্মার কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন ও কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের। কর্মশালায় মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার হাইপারটেনশন কন্ট্রোলবিষয়ক প্রোগ্রামের সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close