যশোর প্রতিনিধি

  ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

যশোরে গণডাকাতি

একজনের ৪৬ বছর দুজনের ৩৯ বছরের জেল

যশোরের অভয়নগরের আন্দাগ্রামের হিন্দুপাড়ায় গণডাকাতি মামলায় একজনের ৪৬ বছর এবং অপর দুজনের ৩৯ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সাঁকো গ্রামের সোহরাব হোসেন, যশোরের মণিরামপুরের কাশিপুর গ্রামের বাচ্চু ও খুলনা তেরখাদার ইন্দুহাটা গ্রামের শহিদুল ইসলাম শামীম। গত রবিবার স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই রাতে অভয়নগরের আন্দাগ্রামের হিন্দুপাড়ায় একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা সুধির কুমার মল্লিক ও তার ছেলে সুরঞ্জিত মল্লিক, ছোট ভাই দীপ্ত কুমার, মেজো ভাই মৃণাল কান্তি, সমর কান্তিসহ প্রতিবেশী কয়েক বাড়িতে গিয়ে বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণের গহনা, মোবাইল ফোনসহ ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন সুধির কুমার মল্লিক বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় অজ্ঞাত আসামি করে ডাকাতি মামলা করেন।

এ মামলার তদন্তকালে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বাচ্চু মিয়াকে আটক এবং তার দেওয়া জবানবন্দির তথ্যানুযায়ী আরো কয়েকজনকে আটক ও ডাকাতি হওয়ায় কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত ও বিভিন্ন সময় আটক, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ১১ জনের অব্যাহতি চেয়ে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিচারক আসামি সোহরাব হোসেনকে ৩৯৫ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড, ৩৯৭ ও ৪১২ ধারায় ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অর্থাৎ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে ৩২ বছর ও দুটি ধারায় ১৪ বছর ৪৬ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া বাচ্চু ও শাহিদুল ইসলাম শামীমকে ৩৯৫ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩৯৭ ধারায় ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ দুজনের ৩৯ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। এ মামলার অপর দুই আসামি ইমামুল কবির ওরফে জীবন ওরফে কদর ওরফে শবে কাদীর ও বিপুল ওরফে বিপ্লব ওরফে কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় রায়ে তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ে সাজা একইসঙ্গে চলবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত তিনজনই জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close