পেটের ভেতর ৪১০০ পাথর
পেশায় হার্ডওয়ার দোকানের মালিক জোগেশ ইলে (৪৩) ভারতের মহারাষ্ট্রের নাশিক শহরে বসবাস করেন। কয়েক সপ্তাহ ধরেই তলপেটে খুব ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন তার পেটে পাথর হয়েছে। আর এ কারণেই তার পেটে ব্যথা ছিল। অবশেষে অপারেশন করানোর সিদ্ধান্ত নেন জোগেশ।
অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসকরা তো যেন থ’ হয়ে গেলেন। একটা নয়, দুইটা নয়— একে একে বেরিয়ে এলো চার হাজার ১০০ পাথর। জোগেশের অপারেশন করানো হয় ভারতের কেরালা রাজ্যের কৃষ্ণ হাসপাতালে। ডা. আমির কেলি ওই হাসপাতালের পরিচালক।
আমির কেলি জানান, প্রতিটি পাথরের সাইজ তিন থেকে চার ডায়ামিটার। চার ঘণ্টা ধরে এ অপারেশন করা হয়েছে। হাসপাতালের দুজন স্টাফকে দিয়ে পাথরগুলো গোনা হয়। দুই ঘণ্টা ধরে গণনা শেষে চার হাজার ১০০ পাথর বের করা হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত করেন। অপারেশনের পর রোগী এখন বেশ ভালো আছেন। সামনের সপ্তাহে তাকে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। স্থুলতা, ডায়াবেটিস, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং কোলস্টেরল পেটে পাথর তৈরি হওয়ার মূল কারণ বলে জানিয়েছেন আমির কেলি।
বিশেষ করে নারীদের জন্য এখন এটি খুবই সাধারণ একটা বিষয়। তিনি বলেন, এ রকম ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গে ডা. এম এল সাহা এক রোগীর পেট থেকে ১১ হাজার ৯৫০টি পাথর বের করেছিলেন।
তিনি আরো জানান, কোলেস্টেরলের কারণেই পেটে পাথর হয়। অসহ্য ব্যথার পরই কেবল রোগিরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এ অসহ্য যন্ত্রণা থেকে অপারেশনই একমাত্র বিকল্প। এ রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করলে পিত্তকোষে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। প্রতি এক হাজারে একজন রোগীর পিত্তকোষে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পিডিএসও/তাজ