চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে ব্যাংকার হত্যাকাণ্ডের ‘ক্লু’ পাচ্ছে না পুলিশ
চট্টগ্রাম নগরে নিজ বাসায় এক ব্যাংকারের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনার ‘ক্লু’ (সূত্র) খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে এই ঘটনায় আটক করেনি পুলিশ। এর আগে গত রোববার সকালে বন্দর থানাধীন সল্টগোলা ক্রসিং এর ধোপপুল এলাকায় হাজী বাড়ির ভাড়া ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সজল নন্দী (৪৮) রূপালী ব্যাংক সল্টগোলা ক্রসিং শাখার ক্যাশিয়ার ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার জৈষ্ঠপুরা ইউনিয়নের মৃত সাধন নন্দীর ছেলে। সজল বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী এবং সঙ্গীত শিক্ষক বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বন্দর থানার ওসি মইনুল ইসলাম বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন সজল। তবে গত রোববার সকালে ঘটনার সময় তার চাকরিজীবী স্ত্রী ঘরে ছিলেন না। সকালে ওই বাসায় ব্যাংকারের লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে গলা কাটার চিহ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, নিহত সজল নন্দীর ভাই স্বপন নন্দী বাদি হয়ে রোববার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কারা জড়িত, কেন এই হত্যা- কিছুই জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
সজলের স্ত্রী রুমা দে জানিয়েছেন, গত রোববার সকালে নিজের কর্মস্থলে গিয়েছিলেন রুমা দে। যাওয়ার সময় সজলকে অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে দেখেন তিনি। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (বন্দর) আরেফিন জুয়েল বলেন, গত রোববার সকাল ৯টার দিকে ওই বাসায় চেঁচামেচি শুনতে পান অন্য ভাড়াটিয়ারা। পারিবারিক ঝগড়া ভেবে কেউ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। পরে তারা দেখতে পায়, দরজা খোলা অবস্থায় বাসার ভেতরে সজলের গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ বিষয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারি কমিশনার (বন্দর) আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত অগ্রগতি নেই।
"