নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০১ মে, ২০২৪

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পেল ওয়ালটন

ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক খাতে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় অপরিহার্য প্রতিপালন, পরিবেশগত প্রতিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিপালন উদ্ভাবনী কার্যক্রম বিবেচনা করে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হলো। গত রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটনকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইভা রিজওয়ানা নিলু। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশীদ ছনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন। জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি ইভা রিজওয়ানা নিলু বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করায় ওয়ালটন পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন খাতে দেশে স্বনির্ভর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে গড়ে তুলেছে আন্তর্জাতিকমানের পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন শিল্প। সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক মেশিনারিজের সমন্বয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি পণ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে সে সব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে। যে পণ্য একসময় দেশে আমদানি হতো তা এখন রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটা জাতি হিসেবে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এতে দেশ ও মানুষের সম্মান সমুন্নত হচ্ছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির কারণে। এ নীতি সহায়তার ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রসারিত হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন সব সময় পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ওয়ালটনের উৎপাদিত ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ অন্য পণ্য ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। যা পরিবেশ সুরক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখে চলছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইউএনডিপির সম্বন্বয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ওয়ালটন। এরই মধ্যে এসি এবং ফ্রিজে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরন কমিয়ে ওয়ালটন যেমন পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রাখছে, তেমনি দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের সুষম ব্যবহারও নিশ্চিত করছে।

নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরো অধিক পরিমাণে উৎপাদন নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতির গতিকে বেগবান ও টেকসই করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণ এবং দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করা হয়েছে। এ বছর ১২টি খাতে ওয়ালটনসহ ২৯টি শিল্পকারখানা এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close