খুলনা ব্যুরো

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঘুম ভেঙে যাওয়ায় গৃহবধূর চোখে-মুখে আঠা লাগায় চোর

খুলনায় ধর্ষণে গ্রেপ্তার আরো এক

খুলনার পাইকগাছায় এক গৃহবধূর (৪৫) চোখে-মুখে আঠা লাগিয়ে এবং হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে পাইকগাছার পূর্ব কাশিমনগরের কপিলমুনি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম ইমামুল জোয়াদ্দার ওরফে এনামুল। তিনি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। এ নিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- আবদুস সামাদ, সুমন হালদার ও রাশিদা বেগম। তবে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে।

গ্রেপ্তার ইমামুলের স্বীকারোক্তির বরাতে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, গত রবিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূর বাড়ির পাশের বাগানে ইমামুল নেশা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গৃহবধূকে একা বাড়িতে দেখে ঘরের সানশেড ধরে ছাদের উঠে সিঁড়ি দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। খাবারে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দিয়ে চলে যান। পরে রাত ২টার দিকে একইভাবে আবার ঘরে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখন গৃহবধূর ঘুম ভেঙে গেলে তার পকেটে থাকা আঠা বের করে গৃহবধূর চোখে ও মুখে লাগিয়ে দেন। গৃহবধূর সঙ্গে ইমামুলের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর গোঙানির শব্দে পাশের বাড়ি থেকে লোকজন সাড়া দিতে শুরু করলে ইমামুল গৃহবধূর কানের দুল ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জনানো হয়, লুট করা কানের দুলটি ইমামুলের মা রাশিদা বেগমের মাধ্যমে চুকনগর স্বর্ণ পট্টির মা জুয়েলার্স নামের একটি দোকানে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। যে কারণে ইমামুলের মা ও দোকানমালিক সুমন হালদারকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ইমামুল একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা আছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি তাজা গুলিসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গৃহবধূকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেননি। গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close