যশোর প্রতিনিধি

  ২১ মে, ২০২৪

যশোরে ৬০০ কোটি টাকার পশু বিক্রির আশা

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে যশোরে ৮ উপজেলায় কোরবানির জন্য খামার ও বাড়িতে মোটাতাজা করা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৫১টি গবাদিপশু। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৩৯ হাজার ৬৭৮টি, ছাগল ৮৬ হাজার ৩৬৫টি ও ভেড়া রয়েছে ৮০৮টি। যার অর্থমূল্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। কোরবানিতে জেলার চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণ করবে যশোরের ৩০ হাজারের বেশি পশু।

যশোর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৯৬ হাজার ৭১৮টি। এই চাহিদা মিটিয়ে ৩০ হাজার ১৩৩টি পশু সারা দেশে যাবে। এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও কৃষকরা যাতে কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার ব্যবহার না করেন, সেজন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকার পশু কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

কৃষক ও খামারিরা জানিয়েছেন, কেউ বাড়িতে আবার কেউ খামারে এসব পশু লালনপালন করছেন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে পশু মোটাতাজা করছেন। খড়ের পাশাপাশি গমের ভুসি ও বুটের খোসা খাওয়ান অনেকে। ছোট-বড় পশুর খামারে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আসছে কোরবানির ঈদে এসব পশু বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশা করছেন তারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, এবার জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশুর (ষাঁড় ও গাভি) গড় ওজন প্রায় সাড়ে ৪ মণ। এ ছাড়া ছাগল ও ভেড়ার গড় ওজন প্রায় ১২ কেজি।

যশোরে এ বছর প্রায় ৬০০ কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক। তিনি বলেন, যশোরের কোরবানির পশু থেকে প্রায় ৪ লাখ স্কয়ার ফিট কাঁচা চামড়া পাওয়া যাবে। যা আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, যশোরের আট উপজেলায় নিরাপদ গবাদিপশুর মাংস উৎপাদনে হৃষ্টপুষ্টকরণ গবাদিপশুর খামার রয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫টি। এর মধ্যে বাঘারপাড়ায় ২ হাজার ৭৯৯টি, চৌগাছায় ২ হাজার ৬০৫, মণিরামপুরে ২ হাজার ৫৩০, কেশবপুরে ১ হাজার ৪০৩, সদরে ১ হাজার ৩৪০, ঝিকরগাছায় ১ হাজার ৩২০, শার্শায় ১ হাজার ২৯৫ এবং অভয়নগরে ৮৪৩টি খামার রয়েছে। এসব খামারিরা এখন কোনো অসদুপায় অবলম্বন করে গরু মোটাতাজা করেন না। প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে বৈঠক করে এবং তাদের সচেতন করাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হয়।

খামারি বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাংগুড়া গ্রামের টিপু সুলতান জানান, তার কোরবানি উপযোগী ১০০টি ষাঁড় আছে; যা গড়ে প্রায় আট মণ ওজনের। এ ছাড়া তার কাছে ১২ মণ ওজনের ২৪টি ষাঁড় রয়েছে। সবকটি বিক্রি উপযোগী। তিনি বলেন, প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস, বিচেলি, গমের ভুসি ও বুটের খোসা খাইয়ে ষাঁড়গুলো মোটাতাজা করছেন। তিনি বলেন, গত বছর প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা করে ঢাকার ব্যাপারীরা কিনেছিল। এবার গত বছরের চেয়ে বেশি দাম পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুরের রহেলাপুর গ্রামের খামারি শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি এ বছর কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রায় ৮ মণ ওজনের ২টি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close